shono
Advertisement

‘এই ইতিহাস জানা উচিত’, এবার পাঞ্জাবের স্কুলপাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত হল কৃষক আন্দোলন

ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা পড়বে 'কিষান আন্দোলন'।
Posted: 01:33 PM Apr 07, 2022Updated: 02:57 PM Apr 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের তিন কৃষি আইনের (Farm Law) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলেছিল কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Agitation)। এক বছর ধরে চলেছিল সেই বিক্ষোভ। কৃষক আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত ওই আইনগুলি তুলে নিতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার সেই কৃষক আন্দোলন স্থান পেল পাঞ্জাবের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের বেশকিছু বেসরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন। গ্রন্থের ওই অধ্যয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিষান আন্দোলন’ (Kisan Andolan)। পাঁচ পৃষ্ঠার ওই অধ্যায়টি যে বইয়ে রয়েছে তার নাম ‘মোহ দিয়ান ট্যানডন’ (Moh diyan tandan)। বইটির প্রকাশক গ্লোবাল লার্নিং সলিউশন (Global Learning Solutions)। ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইটির লেখকের নাম ড. জগজিৎ সিং ধুরি (Dr Jagjit Singh Dhuri)। উল্লেখ্য, ধুরি লুধিয়ানার ব্রিটানিকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন। এইসঙ্গে তিনি পাঞ্জাবের ফেডারেশন অফ প্রাইভেট স্কুলের (Federation of Private Schools) রাজ্য সভাপতিও বটে।

[আরও পড়ুন: কাজ কমেছে দিল্লিতে, কর্মসংস্থানে দেশের মধ্যে শীর্ষে কলকাতা]

লেখক ধুরি জানিয়েছেন, তাঁর বইয়ের ওই অধ্যায়ে ছোটদের উপযোগী করে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। জগজিৎ ধুরির বক্তব্য, “কঠিন সংকল্প, সত্যের পথে চলার শক্তি কতখানি তা জানা উচিত শিক্ষার্থীদের। নিজের অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলা, ঐক্যের শক্তি সম্পর্কেও জানতে হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে। পাঞ্জাবের মানুষের মূল্যবোধ কতখানি সমৃদ্ধ, এই অধ্যায়ে তাও জানবে তারা।”

‘কিষান আন্দোলন’ অধ্যায়ে দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংয়ের প্রসঙ্গও টেনেছেন লেখক। তিনি বলেন, “জাফরনামায় গুরু গোবিন্দ সিংজি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার শিক্ষা দিয়েছিলেন আমাদের। এবং আপনি যদি সঠিক হন তবে আপনিই জয়ী হতে বাধ্য। অন্তর্ভুক্ত নতুন অধ্যায়ে এই বিষয়েও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ED কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগ, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল]

ধুরি দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে বইটি গোটা পাঞ্জাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে শুরুতে যত স্কুল এই বইটিকে পাঠক্রমে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অধ্যায়টি যাঁরা পড়ছেন তাঁরাই নাকি প্রশংসা করছেন। এমন দাবিও করেছেন লেখক। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement