হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: জনপরিষেবায় দ্রুততা, স্বচ্ছতা, প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহারে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা-সহ একাধিক কৃতিত্ব। বিশেষত সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জল জীবন মিশনের সাফল্যের কারণে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুকুটে আরও একটি পালক জুড়তে চলেছে। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেতে চলেছে এই রাজ্যে। আগামী এপ্রিলে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে যোগী আদিত্যনাথের হাতে।
কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্পকে সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়িত করতে প্রথম থেকেই যোগী সরকার অত্যন্ত তৎপর। একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার মতো কঠিন কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। শুধু তাইই নয়, পানীয় জল সংরক্ষণেও এই প্রকল্প অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে। 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, সৌরশক্তি সম্পন্ন ৩৩,২২৯ টি পাম্পের মাধ্যমে এত বড় কাজ হয়েছে জল সংরক্ষণে আর তাতে বহু অর্থও বেঁচেছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র সৌরশক্তির সাহায্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার ঘরে এনেছিল উত্তরপ্রদেশ। সেই সম্মান হাতে উঠছে আবারও।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পাচ্ছেন বাহরাইচের জেলাশাসক মনিকা রানিও। তাঁর কৃতিত্ব আবার অন্য ক্ষেত্রে। যোগী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে নিয়ে যেতে তাঁর সুনির্দিষ্ট, বাস্তবোচিত পরিকল্পনা ছিল আর সবার থেকে আলাদা। যারা সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, তাদেরকেই কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের রাস্তা মসৃণ করে তুলেছেন মনিকা রানি। ২০২৩ সালে তিনিও প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন গোটা জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব কাজের জন্য। এখন তাঁর মডেলই অনুসরণ করছে অন্যান্য জেলা। আর মনিকা রানি হয়ে উঠেছেন আদর্শ জেলাশাসক।