সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন সফরে যাবেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। আগামী ২৬ জানুয়ারি তাঁর বেজিং যাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। দুদিনের এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আর তারপরই মিসরির এই সফর। কিন্তু কেন এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে? আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল কোয়াডের বৈঠক। এরপর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা সহ্য করা হবে না। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, কোয়াডের বৈঠকের পর স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড। এদিকে বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব মারো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভালো বন্ধুত্বও রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চিনের বাড়াবাড়িতে লাগাম টানতে ভারতকে আরও কাছে পেতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। কোয়াড শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়ে জয়শংকরের কাছেও পরিষ্কার এই বার্তা দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে।
কিন্তু ভারতের বিদেশ নীতি ভিন্ন। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়।মিসরির সফরে চিনকে এই বার্তাই দিতে চাইবে দিল্লি। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আসলে ২০২০ সালে গালওয়ান পরিস্থিতির পর পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশই অবনতির পথে চলেছিল। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তাই চিনকে এমনই বার্তা দিয়ে একটা সমতা বিধানের রাস্তাতেই থাকতে চাইছে মোদি সরকার।