সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার জনপ্রিয় নৈশক্লাবে পার্টি চলাকালীন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের। ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার করা হল ওই ক্লাবের ম্যানেজারকে। এখানেই শেষ নয়। অগ্নিকাণ্ডের পরই ক্লাবটির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, ক্লাবটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটির প্রবেশ এবং প্রস্থান পথও ছিল সংকীর্ণ। ফলে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা।
উত্তর গোয়ার আরপোরায় বাগা সুমদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত জনপ্রিয় এই নৈশক্লাবটির নাম বির্চ। সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অরপোরা-নাগোয়া পঞ্চায়েতের প্রধান রোশন রেডকর বলেন, “ক্লাবটির দুই অংশীদারের মধ্যে বিরোধ ছিল। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। এরপর আমরা ক্লাবটির পরিদর্শনে যাই। জানতে পারি, অনুমতি ছাড়াই ক্লাবটির নির্মাণ করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফে ওই ক্লাবটি ভাঙে ফেলার নোটিসও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে উপর মহল থেকে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়।” অন্যদিকে, পিটিআই জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ক্লাবের ভিতরে। কিন্তু ক্লাবটির প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অনেকেই সেখান থেকে বেরতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভিতরেই মৃত্যু হয় অনেকের। এমনকী প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতেও সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। প্রবেশ পথ সংকীর্ণ হওয়ার কারণে দমকলের ইঞ্জিনগুলি ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটারব দূরে দাঁড়িয়েছিল। ফলে আগুন নেভানোর কাজে বিলম্ব হয়। সঠিক সময়ে ক্লাব থেকে না বেরোতে পারার ফলে ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়েও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ফাতিমা শেখ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "আচমকা ক্লাবের ভিতরে আগুন লেগে যায়। তারপরই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। তড়িঘড়ি আমরা ক্লাব ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। কিন্তু অনেকেই সেখান থেকে বেরোতো পারেননি। ভিতরেই আটকে পড়েন। ক্লাবটির কাঠামোতে পাম গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন।"
