সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে চিন, অন্যদিকে পাকিস্তান। নয়াদিল্লিকে 'শিক্ষা' দিতে দুই সীমান্তে ওঁত পেতে দুই শত্রু। আর এই দুই দেশের ইন্ধনে বাংলাদেশ সীমান্তও অশান্ত হয়ে উঠছে। এর মাঝেই সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লি রাজপথে সমরশক্তি দেখাল ভারত। গড়গড়িয়ে ছুটল টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। শক্তি দেখাল বিএমপি সারথ ইনফ্যান্টি ভেহিক্যালও। আকাশের বুক চিড়ে উড়ল অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, তেজস, রাফালে। সবমিলিয়ে কর্তব্যপথ থেকে শত্রুদের কড়া বার্তা দিয়ে রাখল নয়াদিল্লি।
টি ৯০ ট্যাঙ্ক
রাশিয়ার টি৯০ এস ডিজাইনে তৈরি থার্ড জেনারেশনের অস্ত্র।
প্রতি মিনিটে ৮০০টি শেল বর্ষণে ক্ষমতাশীল।
বিএমপি সারথ ইনফ্যান্টি ভেহিক্যাল
যুদ্ধের ময়দানে পদাতিক বাহিনীর মেরুদন্ঢ বলা চলে এই যানটিকে।
সোভিয়েত জমানার উভচর যানটিতে রয়েছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহনের ক্ষমতা।
হামলার জন্য সারথে রয়েছে একটি স্বয়ংক্রিয় ৩০ মিমি কামান।
নাগ মিসাইল সিস্টেম
ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র
১০ কিলোমিটারের দূরত্বে থাকা শত্রুশিবির নিমেষে ধ্বংস করে।
লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে ব্যবহৃত হয় ইমেজিং ইনফ্রারেড সিকার।
ফলে অন্ধকারেও নিখুঁতভাবে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইল
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ক্ষেপণাস্ত্র।
শব্দের থেকেও প্রায় তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম।
প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।
টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে।
পিনাক রকেট সিস্টেম
শিবের ধনুকের মতোই বিধ্বংসী।
মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার।
মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে ১২টি রকেট ছুঁড়তে পারে।
৪০-৭৫ কিমি রেঞ্জ।
ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রলয়
ডিআরডিও-র তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০-৫০০ কিলোমিটার।
‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন।
৩৫০ কেজি থেকে ৭০০ কেজি পর্যন্ত ভারবহনে সক্ষম।
শুধু স্থলপথে নয়, আকাশেও কসরত দেখাল ভারতীয় যুদ্ধবিমান। আকাশ কাঁপাল সুপার হারকিউলিস, সুখোই-৩০ এমকেআই, সাবমেরিন বিধ্বংসী পি নাইন আই, বোমারু জাগুয়ার বিমান, রাফালে, সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানেরা। আকাশ চিড়ে ত্রিশূল ফরমেশনে উড়ল সুখোই-৩০। অমৃতকাল ফরমেশনে ভারতীয় বায়ুসেনার পরমানু বোমাবাহী ৫টি বোমারু জাগুয়ার বিমানও তার ক্ষমতা দেখাল।