সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকারের ‘মনোপলি’ নীতির (একচেটিয়া ব্যবসা নীতি) জেরেই ইন্ডিগোর এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদের সেই দাবি খণ্ডন করে এবার পালটা দিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু।
তিনি বলেন, “বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। এটি জনসাধারণের সমস্যা। প্রতিযোগীতা যাতে বাড়ে, তার জন্য সরকার সবসময়ে চেষ্টা করেছে। লিজিং খরচ কমানোর জন্য আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে। আমিও নিজেও একাধিকবার বলেছি, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। দেশে বিমান চলাচলের চাহিদা বাড়ছে। সরকারও চায় এই ক্ষেত্রটি আরও বড় হোক। তিনি (রাহুল গান্ধী) সম্পূর্ণ তথ্য না জেনেই কথা বলছেন।”
প্রসঙ্গত, রাহুল জানিয়েছিলেন, ইন্ডিগোর বর্তমান দুর্দশার জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকারের একচেটিয়া ব্যবসা নীতি। আরও একবার আমজনতাকে সেই ভ্রান্ত নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে। বিমান বাতিল, পরিষেবা বিঘ্ন এবং অসহায়তা। আসলে সব ব্যবসা ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতার প্রয়োজন হয়। এভাবে ম্যাচ ফিক্সিং এবং মনোপলি চলতে পারে না। তার এই মন্তব্যের এবার পালটা দিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী।
ইন্ডিগোর এই বিপর্যয়ের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ) নোটিস পাঠিয়েছে বিমান সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলবার্সের কাছে জবাব তলব করেছে ডিজিসিএ। তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কেন্দ্রের নতুন বিধি আগে থেকেই সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল ইন্ডিগোর। কিন্তু সংস্থা সেটা করেনি। সেকারণেই এই অব্যবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি। কেন আগে থেকে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে ইন্ডিগোকে নোটিস দিয়েছে ডিজিসিএ।
