সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচদিন ব্যাপী চূড়ান্ত অব্যবস্থা। ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার যাত্রী। কেন্দ্র মনে করছে, সবটাই হয়েছে ইন্ডিগোর শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের গাফিলতিতে। সেকারণেই এবার নোটিস পাঠানো হল ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে। এই অব্যবস্থার জন্য দায়ী কারা? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলবার্সের কাছে জবাব তলব করেছে ডিজিসিএ।
অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের পরই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক শীর্ষস্তরের গাফিলতির সম্ভাবনা দেখছে। ডিজিসিএ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কেন্দ্রের নতুন বিধি আগে থেকেই সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল ইন্ডিগোর। কিন্তু সংস্থা সেটা করেনি। সেকারণেই এই অব্যবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি। কেন আগে থেকে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে ইন্ডিগোকে নোটিস দিয়েছে ডিজিসিএ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিইও-কে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শনিবারও দেশজুড়ে বাতিল হয়েছে ৮৫০টি উড়ান। শনিবারও সমানে ভুগতে হয়েছে যাত্রীদের। সেসবের পরও ইন্ডিগোর দাবি, মোটামুটিভাবে ৯৫ শতাংশ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। রবিবার সব মিলিয়ে ১৫০০ বিমান চালানো হবে বলে সংস্থার তরফে দাবি। ইন্ডিগোর দাবি ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।
তাতে অবশ্য চিড়ে ভিজছে না। শোনা যাচ্ছে ইন্ডিগো-কে একাধিক স্তরে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সংস্থার উপর মোটা অঙ্কের জরিমানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ উড়ান চালানোর অনুমতি তাঁদের দেওয়া হয়েছে, সেটা আরও কমানোর ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। সবটাই দ্রুত ঘোষণা করা হবে।
