সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি বণ্টনে দুর্নীতি মামলায় আরও চাপে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। 'মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ' (মুডা)-এর জমি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে শনিবার জানাল ইডি। এই দুর্নীতিতে সরাসরি রাজ্যের প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, মুডা মামলার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৪২টি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইডির তরফে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত খোদ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ফলে আগামী দিনে তাঁর উপর চাপ যে আরও বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। এর জেরে কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
সেই মতো জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সূত্রে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ায় এই মামলায়। সেই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর পর কর্নাটকের লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিপাকে পড়ে রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।