হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: ১৪৪ বছরের পুণ্যতিথির পর এবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে পবিত্র মহাকুম্ভ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর সেই উপলক্ষে প্রয়াগরাজের সঙ্গম হয়ে উঠেছেন সেরাজ্যের কারিগরদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। 'এক জেলা, এক পণ্য' প্রদর্শনী চলছে ৬ হাজার বর্গ মিটার। কার্পেট, জারি-জারদারি, ফিরোজাবাদের কাচের খেলনা, বারাণসীর কাঠের খেলনার মতো চমৎকার সব হস্তশিল্প রয়েছে সেখানে।
প্রয়াগরাজ ডিভিশনের যুগ্ম শিল্প কমিশনার শরদ ট্যান্ডন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মহাকুম্ভের তুলনায় এবার বাণিজ্য হয়েছে অনেক বেশি। যেখানে সেবার ব্যবসা হয়েছিল ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার, সেখানে এবার ৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা হওয়ার আশা করছেন তাঁরা। ফলে নতুন কর্মসংস্থান ও বাণিজ্যের অবাধ সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। এদিকে ফ্লিপকার্টও একটি স্টল করেছে এখানে। সেখানে স্থানীয় বিক্রেতাদের বিনামূল্যে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনও চার্জ ছাড়াই কারিগররা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে।
এবারের প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ উত্তরপ্রদেশের ঐতিহ্যশালী নানা সামগ্রী। যার মধ্যে বেনারসের লাল চেলি, বেনারসি শাড়ি, প্রতাপড়ের আমলার মতো নানা জিনিস রয়েছে। রয়েছে কুশিনগরের কার্পেট ও কাচের খেলনা। মোট ৭৫টি জিআই সামগ্রীর মধ্যে কেবল কাশীরই ৩৪টি সামগ্রী রয়েছে।
মহাকুম্ভের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মেলা প্রাঙ্গন। সাধু-সন্ত, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষায় ব্যস্ত কুম্ভের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকরা। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর অনুপ্রেরণায় তাঁদের এই কাজ প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বে। কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটদুনিয়াও। আর এই পরিস্থিতিতে মুখে হাসি ফুটছে সেখানকার কারিগরদের। তাঁদের পণ্য অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠছে পুণ্যার্থীদের কাছে।