হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: কুম্ভের সঙ্গমে ডুব প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং বিশিষ্ট কবি ড. কুমার বিশ্বাসের। পুণ্যার্জনের জন্য মহাকুম্ভের পবিত্র সঙ্গমে ডুব দেন তাঁরা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে। এছাড়াও ছিলেন শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্ত নন্দীও। স্নানের পর সপরিবারে পুজো দেন তাঁরা। মহাকুম্ভের মহিমার ভূয়সী প্রশংসা করেন সকলে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই প্রক্রিয়া 'গেম চেঞ্জারে'র ভূমিকা নিতে পারে বলেই দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, দেশের জিডিপি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে বলেই মনে করেন তিনি।
বিশিষ্ট কবি ড. কুমার বিশ্বাস বলেন, "মহাকুম্ভ সম্প্রীতির প্রতীক।" তিনি আরও বলেন, "গঙ্গা শুধু একটি নদী নয়। ভারতীয় সংস্কৃতি মানে শুধু ধর্ম নয়। তা সামাজিক সম্প্রীতিরও প্রতীক। যা সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি নিদর্শন। সরকার-প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সকলকে ধন্যবাদ জানাই।" তিনি গঙ্গার স্তুতি করতে করতে পুণ্যস্নান সারেন। এবং গঙ্গার মাহাত্ম্য নিয়ে তাঁর লেখা কবিতা পাঠ করেন। কবিতা শুনে মন্ত্রমুগ্ধ সকলে। ইসকন পরিচালিত রান্নাঘরে ঢুকে ভক্তদের খাবার পরিবেশন করেন। তিনি হনুমানজিকে দর্শনের পর শংকর বিমান মণ্ডপম মন্দিরে যান। যেখানে ২১ জন বৈদিক ব্রাহ্মণ তাঁকে প্রধান ফটকে 'বৈদিক অভ্যর্থনা' জানান।
অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্তি তাঁর পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিন দিন পবিত্র স্নান ও তর্পণ করবেন বলেই জানান। তিনি বলেন, "গঙ্গায় পুণ্যস্নান করেছি। আমার পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করছি। এটা আমার কাছে ভীষণ গর্বের। এবং আনন্দের বিষয়।" উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করে বলেন, "যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশমতো প্রশাসনের সকলে দারুণ কাজ করেছে। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।"