হেমন্ত মৈথিল: সপরিবারে মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শনিবার সকালে কুম্ভস্নান সারার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বার্তা দিলেন, 'ভারতের আধ্যাত্মিক আস্থার প্রতীক এই মহাকুম্ভ।' লোকসভার স্পিকারের পাশাপাশি এদিন কুম্ভে ডুব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এদিন মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, "এই মহাকুম্ভ আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ধর্মের এক মহৌৎসব। এখানে সন্তদের বাণী, তাঁদের প্রভাব ও ভক্তদের অপার শ্রদ্ধা চাক্ষুষ করতে পারবেন সকলে।" স্নানের পর গোটা দেশবাসীর মঙ্গলকামনা করে বিড়লা বলেন, "মা গঙ্গার কৃপা সকলের উপর সকলের উপর বর্ষিত হোক এবং সকলের জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। মহাকুম্ভ শুধু মানুষের আভ্যন্তরীণ শক্তি ও চেতনা জাগায় না, বরং আত্মা ও মনকে শুদ্ধ করে। বেদ ও পুরাণে এই মহাকুম্ভের উল্লেখ রয়েছে। পুরো ভারতের গ্রাম ও শহর থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এখানে জড়ো হয়েছেন ও আস্থার ডুব দিচ্ছেন।"
পাশাপাশি বিরাট এই আয়োজনের জন্য যোগী সরকারের প্রশংসা করেন ওম বিড়লা। তিনি বলেন, "এই মহাকুম্ভ শুধু মানুষের মনে আধ্যাত্মিক শান্তি দেয় না বরং সমাজকে একজোট করতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।" মহাকুম্ভের বিরাট জনসমাগমকে ভারতের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি বলে উল্লেখ করেন ওম বিড়লা। এছাড়াও মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, "এ এক আবেগময় মুহূর্ত। মহাকুম্ভ দেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এটি ভারতের চেতনার এক অনন্য উদাহরণ। ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধ ভারতের এক অনন্য ছবি এই মহাকুম্ভ।"