shono
Advertisement

টেনে হিঁচড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন, প্রকাশ্যে অমরাবতী হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ

মঙ্গলবার ৭ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিল NIA।
Posted: 04:12 PM Jul 05, 2022Updated: 05:35 PM Jul 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্য সমর্থন করে উদয়পুরে কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) ছাড়াও খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অমরাবতীর কেমিস্ট উমেশ কোলহে (Umesh Kolhe)। এদিন প্রকাশ্যে এসেছে অমরাবতীর হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ। সেখানে দেখা গিয়েছে, উমেশকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এদিকে মূল চক্রান্তকারী ইরফান খান-সহ সাত অভিযুক্তকে আজই হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ (NIA)। 

Advertisement

২১ জুলাই রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কেমিস্ট উমেশ কোলহেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে ২৯ জুলাই। আরএসএস মুখপাত্র অর্গনাইজার টুইট করে ওই হত্যার কথা জানায়। তখনই জানা যায়, ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের অন্যতম মূল চক্রী ইরফান খান। এদিন হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরে দেখা গিয়েছে, অন্ধকার রাস্তার একপাশে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে উমেশের উপরে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়।

[আরও পুলিশ: প্রেমিকার সঙ্গে যৌন মিলনের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের দিনই উমেশকে হত্যার ছক ছিল। কিন্তু সেদিন তুলনায় আগেভাগে রাত সাড়ে নটা উমেশ নাগাদ দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। পরদিন সাড়ে দশটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় উমেশের উপরে হামলা চালানো হয়। জানা গিয়েছে, নূপুর শর্মা ইস্যুতে উমেশ ছাড়াও আরও কয়েক জনের উপরেও বেজায় ক্ষিপ্ত হয় অভিযুক্ত ইরফান। ঘটনার কেন্দ্রে একটি হোটাটসঅ্যাপ গ্রুপ। যার নাম ‘ব্ল্যাক ফ্রিডম’। গ্রুপের সদস্যরা হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের। এখানেই নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে বেশকিছু মন্তব্য করেন উমেশ। ওই মন্তব্য অন্য বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন উমেশের বন্ধু প্রাণী চিকিৎসক ইউসুফ খান। তার একটি হল ‘কালিম ইব্রাহিম’। যার অন্যতম সদস্য এই ইরফান খান।

[আরও পুলিশ: পুরীতে বলরাম, সুভদ্রার রথের চাকায় ফাটল! ‘অশুভ ইঙ্গিত’ মনে করছেন ভক্তরা]

পুলিশ জানিয়েছে, উমেশের মন্তব্যে ভয়ংকর ক্ষিপ্ত হয়েছিল ইরফান। এরপরই সে, চিকিৎসক ইউসুফ খান আরও পাঁচজন উমেশকে খুনের পরিকল্পনা করে। এই সাতজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে আজ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। জানা গিয়েছে, একা উমেশ না, একই ইস্যুতে আরও কয়েকজনকে হত্যার চক্রান্ত হয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement