সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ দিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তবে তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন শুধু দুই উপমুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার আর কোনও সদস্য শপথ নেননি। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ঐক্যমতে পৌঁছলেও মহাজুটির তিন শরিক মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার শুধু ফড়ণবিস-শিণ্ডে-অজিত শপথ নিয়েছেন। ‘মহাজুটি’র তরফে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ চলতি মাসেই হতে পারে। শিণ্ডেসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণে রাজি হলেও স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের বিষয়ে এখনও অনড় শিণ্ডে। তাঁর যুক্তি, অতীতে গোপীনাথ মুন্ডে, আরআর পাটিল, জয়ন্ত পাটিল, ছগন ভুজবল, অনিল দেশমুখরা মুখ্যমন্ত্রী না হয়েও স্বরাষ্ট্র দপ্তর সামলেছেন। এমনকী, বিদায়ী সরকারেও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রের হাতে ছিল স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ভার। তবে বিজেপি স্বরাষ্ট্র দপ্তর ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে দপ্তর বণ্টনের সময় নতুন করে ‘সমস্যা’ মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার মহারাষ্ট্রে ১৪৯টি আসনে লড়াই করে ১৩২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও একনাথ শিণ্ডের শিব সেনা ৫৭টি এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ৪১ আসনে জয়ী হয়। দপ্তর বণ্টনের সূত্র অনুযায়ী, মোট ৪৩ মন্ত্রকের মধ্যে ২৪টিই থাকবে বিজেপির হাতে। ৫৭ জন বিধায়ক থাকা শিণ্ডে সেনার হাতে থাকবে ১০টি মন্ত্রক। ৯টি মন্ত্রক পাবে এনসিপি। সেটা নিয়ে বিশেষ সমস্যা নেই। মূল সমস্যা হল কারা কোন দপ্তর পাবেন।
দেবেন্দ্র ফড়ণবিসও মেনে নিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বণ্টন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। তবে এখনই সেটা ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতি নেই। ফড়ণবিসের বক্তব্য, "মন্ত্রক চূড়ান্ত করার আগে আরও একবার বৈঠক করতে হবে আমাদের।" শোনা যাচ্ছে, শীতকালীন অধিবেশনের আগেই এই জটিলতা মেটাতে চাইছে বিজেপি।