shono
Advertisement
Rajasthan

পাক তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি! রাজস্থানে গ্রেপ্তার যুুবক

১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published By: Subhankar PatraPosted: 03:33 PM Oct 11, 2025Updated: 04:45 PM Oct 11, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:পাকিস্তানী মহিলার মধুচক্রের শিকার হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক গোপন তথ্যপাচার! যার বিনিমিয়ে প্রচুর অর্থও পেতেন যুবক! পাক গুপ্তচর হিসাবে কাজ করার অভিযোগে রাজস্থানের আলোয়ার থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগ। যুবককে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

যুবকের নাম মঙ্গত সিং। তিনি আলোয়ারের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে পাকগুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির। ২ বছর ধরে মঙ্গত সেনার বিভিন্ন তথ্য ও এলাকায় সেনার কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অংশ হওয়ায়, এই অঞ্চলটি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে বিবেচিত সেনার কাছে। সেই এলাকার তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন এই ব্যক্তি এমনটাই দাবি গোয়েন্দা বিভাগের।

অপারেশন সিঁদুরের সময় থেকে রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগ নিরাপত্তার দিক থেকে রাজস্থানের সংবেদনশীল এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির কড়া নজর রাখতে শুরু করে। আলোয়ার সেনানিবাস এলাকায় নজরদারি চালানোর সময় মঙ্গত সিংয়ের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে গোয়েন্দাদের। তারপর থেকেই যুবকের উপর নজরদারি চালাতে শুরু করেন আধিকারিকরা। গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি রাজেশ মিল বলেন, "ধৃত ব্যক্তি ক্রমাগত আমাদের সেনাবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

কীভাবে পাকিস্তানের মধুচক্রের শিকার হলেন যুবক? জানা গিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ‘ইশা শর্মা' নামে এক পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে তার আলাপ। তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। তারপর মুঙ্গেতের বিভিন্ন আপত্তিজনক ছবি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় বলে দাবি। পরে অর্থের লোভও দেখানো হয় তাঁকে। এই দু'য়ের ফাঁদে পড়ে ধৃত ব্যক্তি পাক গুপ্তচর হিসাবে কাজ করা  শুরু করেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।

তথ্য পাচার চলত কী করে? ধৃতের কাছে দু'টি পাকিস্তানি নম্বর রয়েছে। একটির মাধ্যমে মুঙ্গেত মধুচক্রের মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অন্য নম্বরটির মাধ্যমে সরাসরি পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। পেতেন প্রচুর অর্থও। অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা অভিযুক্তের মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল 'ফুটপ্রিন্ট' বিশ্লেষণ করে ১০ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাজস্থান সিআইডি ইন্টেলিজেন্স অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। তাকে জয়পুরের কেন্দ্রীয় জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পাকিস্তানী মহিলার মধুচক্রের শিকার হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক গোপন তথ্যপাচার! যার বিনিমিয়ে প্রচুর অর্থও পেতেন যুবক!
  • পাক গুপ্তচর হিসাবে কাজ করার অভিযোগে রাজস্থানের আলোয়ার থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগ।
  • যুবককে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement