ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যের উপনির্বাচনে ছয়ে ছয় তৃণমূলের। শুধু রাজ্য নয়, মেঘালয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ফল করল ঘাসফুল শিবির। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। আর সেখানে কংগ্রেস এবং বিজেপিকে পিছনে ফেললেন তৃণমূল প্রার্থী।
মেঘালয়ের গামবেগরে বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন সাধিয়ারানি এম সাংমা। ৮ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। এনপিপির জয়ী প্রার্থী মেহতাব সাংমার থেকে মোটে ৪ হাজার ভোট কম পেয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেসের জিংজাং মারাং। তাঁর ঝুলিতে এসেছে ৭ হাজার ৬৯৫ ভোট। অর্থাৎ তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে ৩৮৯ ভোট কম পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। ধারেকাছে নেই বিজেপি। তাদের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট তিন অঙ্কের ঘর পার করতে পারেনি।
তৃণমূলের এই ফলাফল নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, 'এই জয়ের জন্য প্রার্থী সাধিয়ারানি এম সাংমাকে হার্দিক অভিনন্দন। নানাবিধ প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও মুকুল সাংমা ও চার্লস যেভাবে তৃণমূলের মেঘালয় শাখাকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যেভাবে লড়াই করছেন, তাঁদেরও অনেক অভিনন্দন।' তিনি আরও লিখেছেন, 'মেঘালয়ে দলের হয়ে লড়াই করা তৃণমূলের সকল সৈনিককে প্রণাম। মেঘালয়ের হারিয়ে যাওয়া গরিমা ফিরিয়ে আনতে এবং রাজ্যবাসীকে সুষ্ঠ পরিষেবা দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই লক্ষ্যপূরণের জন্য কোনও চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না'।
অসমের পর উত্তর পূর্বের মেঘালয়ে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল। দায়িত্ব নিয়েছেন অভিষেক নিজে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রার্থীর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।