সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসির সম্পত্তি এবার নিলামে উঠতে চলেছে। সম্প্রতি এই নিলামের অনুমতি দেওয়া হয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের তরফে। জানা যাচ্ছে, মেহুলের বহুমূল্য ১৩টি সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে। যে তালিকায় রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও অন্যান্য মূল্যবান রত্ন।
জানা গিয়েছে, নিলামে উঠতে চলা সম্পত্তির মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা (২০১৮ সালের হিসেবে)। এই সম্পত্তির মধ্যে বোরিভালিতে রয়েছে ৪টি ফ্ল্যাট যার মূল্য প্রায় ২.৬ কোটি টাকা। বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে ১৪টি গাড়ি পার্কিং-সহ ভারত ডায়মন্ড বোর্সের কেন্দ্রীয় শাখায় একটি বাণিজ্যিক ইউনিট (প্রায় ১৯.৭ কোটি টাকা), গুরুগাঁওতে ৬টি কারখানা (১৮.৭ কোটি)। এছাড়া রূপোর ইট, মূল্যবান পাথর ও বেশ কয়েকটি মেশিন। এই নিলাম প্রসঙ্গে বিচারক জানান, 'যদি এই সমস্ত সম্পত্তি এভাবেই পড়ে থাকে তবে দিনের পর দিন এর মূল্য কমতে থাকবে। ফলে এগুলিকে অবিলম্বে নিলামে তোলা দরকার।
পিএনবি থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে গুজরাটের বছর পঁয়ষট্টির হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। মামলার কিনারা করতে নামে সিবিআই। ২০১৮ সালে চোকসি সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালান। প্রথমে গা ঢাকা দিয়েছিলেন দ্বীপদেশ অ্যান্টিগায়। আদালতে বারবার চোকসি জানান, তিনি আর ভারতীয় নন, অ্যান্টিগার নাগরিক। কিন্তু এদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েননি। ফলে নিয়ম মেনেই বিদেশ থেকে তাঁকে প্রত্যর্পণে পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। ২০২৪ সালে সিবিআই জানতে পারে, চোকসি বেলজিয়ামে গা ঢাকা দিয়েছেন। তখনই বেলজিয়াম সরকারের কাছে প্রত্যর্পণের আর্জি জানানো হয়। সেখানকার আদালতের নির্দেশে এপ্রিল মাসে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন প্রতারক হিরে ব্যবসায়ী।
জেলবন্দি হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছে বেলজিয়াম আদালত। ভারতের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে নয়াদিল্লির আবেদন বৈধ বলে জানিয়েছেন সেখানকার বিচারক। যদিও জানা যাচ্ছে, বেলজিয়ামের এই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেখানকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন চোকসি। সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কবে প্রতারক মেহুল চোকসিকে হাতে পাবে নয়াদিল্লি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই।
