সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এদেশে অনেক কিছু রেজিস্টার্ড নয়। ঠিক যেমন হিন্দু ধর্ম রেজিস্ট্রার্ড নয়, তেমনই আরএসএস-ও নয়। বিরোধীতা হলেই আরএসএস আরও শক্তিশালি হয়। চলতি বছরে শতবর্ষে পা দিল আরএসএস। এর মাঝেই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিরোধীদের কড়া জবাব দিলেন মোহন ভাগবত।
এই বছর ১০০ বছর পূরণ করছে আরএসএস। এই শত বছরে বহুবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন। সেই প্রসঙ্গে ভাগবতের দাবি, সংগঠন তৈরি হয়েছে ১৯২৫ সালে, সেই সময় ব্রিটিশদের শাসনে সংগঠনকে নথিভুক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরও দাবি করেছেন, 'স্বাধীনতার পরে নতুন আইনে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়। 'ব্যক্তিদের সংগঠন'কেও আইনি মর্যাদা দেওয়া হয়। আমরা ব্যক্তিদের সংগঠন এবং আমরা একটি স্বীকৃত সংগঠন।'
ভাগবতের দাবি, আরএসএস-কে তিন বার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেকবার আদালত সেই নির্দেশ বাতিল করেছে। সংসদে আরএসএস-এর পক্ষে এবং বিপক্ষে বহু কথা হয়েছে। তাঁর দাবি, আরএসএস আইনত একটি সংগঠন এবং তাঁরা সংবিধানবিরোধী নয়। শুধুমাত্র সেই কারণেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। হিন্দু ধর্মের সঙ্গে তুলনা টেনে ভাগবতের দাবি, 'অনেক জিনিস আছে যা নথিভুক্ত নয়। এমনকি হিন্দু ধর্মও নথিভুক্ত নয়।'
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের আক্রমণের পর আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত মাসে খাড়গে বলেন আরএসএস নিষিদ্ধ করা উচিত এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। খাড়গে-র ছেলে এবং কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি আরএসএস-এর সমালোচনা করেছেন।
