সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া নিয়ে চরম বিভ্রান্তি নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডে। এদিন মণিপুরে জেডিইউয়ের প্রদেশ সভাপতি ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং চিঠি দিয়ে জানান, রাজ্যে দলের একমাত্র বিধায়ক বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছেন। সেই খবরে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই পালটা পদক্ষেপ এল নীতীশের তরফে। জেডিইউ সরকারিভাবে বলল, ওটা দলের সিদ্ধান্ত নয়।
২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড মণিপুরে ৬টি আসন যেতে। এমনিতে সেরাজ্যে বিজেপি (BJP) এবং জেডিইউ (JDU) সরাসরি জোটে ছিল না। জেডিইউ বিজেপির বিরোধিতা করেই এতগুলি আসন পায়। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পাঁচ জেডিইউ বিধায়ক– কে জয়কিসান সিং, গুরুসঙ্গলুর সানাতে, আচাবউদ্দিন, থাঙ্গজাম অরুণকুমার এবং এল এম খাউতে বিজেপিতে যোগ দেন।
শুধুমাত্র জেডিইউ মহম্মদ আবদুল নাসির নীতীশের দলে থেকে যান। সরকারিভাবে এতদিন ওই বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করছিলেন। কিন্তু বুধবার চিঠি দিয়ে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন জনতা দল ইউনাইটেডের রাজ্য সভাপতি ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং। যদিও তাতে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না বিজেপির। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় এন বিরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের পক্ষে রয়েছে ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন।
মণিপুরে জেডিইউয়ের রাজ্য সভাপতি ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লাকে চিঠি দিয়ে জানান, তাঁদের দলের একমাত্র বিধায়ক মহম্মদ আবদুল নাসিরকে বিরোধী বিধায়ক হিসাবে গণ্য করা হোক। বিধানসভায় তাঁর বসার জায়গাও বিরোধী বেঞ্চে রাখা হোক। সেই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই অবশ্য পিছু হটলেন নীতীশ। জেডিইউয়ের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সভাপতিকেই বরখাস্ত করে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে দলের তরফে রাজীব রঞ্জন সিং বলে দিলেন, সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দলের নয়।