shono
Advertisement

Abhishek Banerjee: অভিষেকের দুবাই সফরে কোনও বেনিয়ম নেই, ইডি’র তথ্যে মুখ পুড়ল বিজেপির

ইডির বিরোধিতা সত্ত্বেও উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য দুবাই গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Posted: 08:59 AM Jun 10, 2022Updated: 09:01 AM Jun 10, 2022

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আবারও মুখ পুড়ল বিজেপির। দুবাই থেকে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়ে দিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোনও গতিবিধি নিয়মের বাইরে নয়। তিনি যেখানে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, ঠিক সেখানেই গিয়েছেন। যেখানে থাকার কথা সেখানেই থেকেছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য তিনবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। ইডি (ED) সূত্রেও খবর, তাদের হাতেও যে তথ্য এসেছে তাতে পূর্বনির্দিষ্ট যেখানে থাকার কথা বা যাওয়ার কথা, ঠিক সেখানেই গিয়েছেন অভিষেক। কোথাও কোনও বেনিয়ম হয়নি। তৃণমূল (TMC) সূত্রেও বক্তব্য, রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে।

Advertisement

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যেভাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নজর রাখার কথা বলা হয়েছিল, তা আইনের বাইরে চরিত্র হনন। বস্তুত, অভিষেক টুইটেও সেই নজরদারির প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারকে বিঁধেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘‘আমার উপর নজর রাখতে গিয়ে তারা ভুলে যাচ্ছে, গোটা ভারতই এখন তাদের দিকে নজর রাখছে।’’ তিনি নীরব মোদি, বিজয় মালিয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কটাক্ষ করেছিলেন, তাঁর উপর যে নিষ্ঠা ও উৎসাহের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থা নজর রাখছে, একই উৎসাহ দিয়ে নীরব-মালিয়ার উপর নজর রাখলে দেশের মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যেত।

[আরও পডুন: গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেপ্তার করল CBI]

উল্লেখ্য, চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য অভিষেককে দুবাই যেতে বাধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। উচ্চ আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর দুবাই (Dubai) যান অভিষেক। গত ৩ তারিখ দুবাই যান তিনি। আগে থেকেই ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল তাঁর। সেইমতো তিনি চিকিৎসার জন্য খুব সুনির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েছেন।

[আরও পডুন: ফের ধর্মীয় হিংসা পাকিস্তানে, ভাঙা হল মন্দির, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আক্রান্ত পুরোহিতও]

দুবাইয়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপর নজরদারি নিয়ে টুইট করে ‘বাংলা পক্ষ’র গর্গ চট্টোপাধ্যায়। গর্গ লিখেছিলেন, ‘‘এভাবে একজন সাংসদের উপর নজর রাখা দেশের সার্বভৌমত্বের আত্মসমর্পণেরই শামিল।’’ সেই টুইটের পর বহু মানুষ প্রতিবাদে শামিল হন। আদালতে বিষয়টি গড়ানোর পরও কোনও ‘বেনিয়ম’ না মেলায় যে বিজেপির মুখ পুড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুক্রবার পর্যন্ত দুবাইয়ে থাকার কথা অভিষেকের। তারপর ফিরবেন দেশে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement