সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। সংসদে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। অবসরের পর বিচারপতিদের অন্য পদে নিয়োগ রুখতে তাঁদের অবসরের বয়সে বাড়ানো যায় কিনা, প্রশ্ন করেছিলেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা। সেই প্রশ্নের জবাবেই এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
রাজ্যসভায় রাঘব চাড্ডা প্রশ্ন করেন, মোদি সরকার অবসরের পর বিচারপতিদের অন্যান্য পদে বসাচ্ছে। কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে, কাউকে আবার রাজ্যপাল করা হচ্ছে। কাউকে বিভিন্ন কমিটি-কমিশনে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। সেটার আগে কেন সময় সময়ের ব্যবধান রাখা হচ্ছে না? কেনই বা বিচারপতিদের অবসরের বয়স বা অবসরকালীন পেনশন বাড়ানো হচ্ছে না? কেন্দ্র কি বিচারপতিদের কুলিং অফ নিয়ে ভাবছে? প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রসঙ্গ মনে করিয়ে রাঘব বলেন, অবসরের পরে নতুন পদের আকাঙ্ক্ষা বিচারপতিদের অবসরের আগের রায়কে প্রভাবিত করে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, সংবিধানে বিচারপতিদের কুলিং অফ পিরিয়ডের কোনও উল্লেখ নেই। আপ সাংসদ শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনা করতে এ কথা বলছেন। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন পদে বসাতেই হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের। একই সঙ্গে মেঘওয়াল জানিয়ে দেন, এখই বিচারপতিদের অবসরের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। এই ধরনের কোনও প্রস্তাব আসেনি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নজিরকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করে কেন্দ্র। অযোধ্যার ঐতিহাসিক রাম মন্দির মামলার অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই রাজ্যপাল পদে তাঁর নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এর আগে রাজ্যসভায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মনোনয়ন নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠছে।