সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়, এমনই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের তরফে এই অনাস্থার প্রস্তাব জানানো হয়েছে। যাকে সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ অন্যান্য বিরোধী দল।
বিরোধী শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসে লাগাতার পক্ষপাত করে চলেছেন ধনকড়। বিরোধী সাংসদদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীরা কথা বলতে উঠতে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে, শাসকদলের সাংসদদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। যার জেরে সংবিধানের ৬৭(বি) ধারায় উপরাষ্ট্রপতি তথা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সাক্ষর করেছেন ৭০ জন বিরোধী সাংসদ।
শুধু তাই নয়, সংসদের শীর্ষ আসনে বসে সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন জগদীপ ধনকড়। যা সংসদের নিয়ম বিরুদ্ধ। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যসভার রুল নম্বর ২৩৮(২) অনুযায়ী, কোনও সাংসদ নিজের বক্তৃতায় কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে পারেন না। এটা শুধু সাংসদদের ক্ষেত্রে নয়, একইভাবে প্রযোজ্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রেও। এই সব অভিযোগকে সামনে রেখেই জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধীরা।
এদিকে সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে জর্জ সোরসের যোগাযোগকে হাতিয়ার করে সরব হয়ে ওঠে বিজেপি। ভারত থেকে কাশ্মীরকে পৃথক করতে চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেয় জর্জ সোরস ফাউন্ডেশন। তাঁর সঙ্গে সোনিয়ার যোগাযোগের বিষয় নিয়ে তুমুল হইচই শুরু করে বিজেপি। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস। তবে এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ধনকড়। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার ঝুঁকির। চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে হাত শিবির। যার ফলে দফায় দফায় মুলতুবি হয় অধিবেশন। এর পরই প্রকাশ্যে আসে ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে বিরোধী শিবির।