সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাটের জেরে এবার উত্তপ্ত হল সংসদ। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে লোকসভায় মুখ খোলেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। তিনি জানান, যে নিয়মের জেরে এতবড় সমস্যায় পড়েছে ইন্ডিগো সেটা যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। সুরক্ষার সঙ্গে আপস করার প্রশ্নই নেই। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিরোধীরা ইন্ডিগো ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। কিন্তু আলোচনা না হওয়ায় ওয়াকআউট করেন তাঁরা।
সোমবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নায়ডু বলেন, শয়ে শয়ে উড়ান বাতিল হয়েছে। বিমানসংস্থার অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুক্তভোগী হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অথচ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পাইলটদের পর্যাপ্ত ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দ্র। তাঁর কথায়, “আমরা পাইলট, বিমানকর্মী এবং যাত্রীদের দেখভাল করে থাকি। এই বিষয়ে সমস্ত বিমান সংস্থাকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগোর উচিত ছিল ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখা। যাত্রীরা ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা এই পরিস্থিতিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিমান সংস্থার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করব। যদি নির্দেশিকা অমান্য হয়, তবে ব্যবস্থা নেব।”
মঙ্গলবার লোকসভাতেও খানিকটা একই সুরে নায়ডু বলেন, "যতই বড় উড়ান সংস্থা হোক না কেন, এভাবে যাত্রী ভোগান্তি তৈরি করতে পারে না কেউ। ইন্ডিগোর শীর্ষ নেতৃত্বকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।" তাঁর মতে, পাইলটদের ক্লান্তি দূর করার জন্যই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ডিউটির সময় কমানোর নিয়ম করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই পাইলটদের তরতাজা রাখা প্রয়োজন। দেশে আরও নতুন উড়ান সংস্থা তৈরির ডাকও দিয়েছেন নায়ডু।
যতক্ষণ মন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন, বিরোধীরা বারবার স্লোগান দিয়েছেন লোকসভায়। ইন্ডিগো সমস্যার সূত্রপাত ডিজিসিএর যে নতুন নিয়ম থেকে, সেই নিয়মের জেরে সমস্যা বেড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই নায়ডুর বক্তব্য শেষ হতেই বিরোধীরা দাবি জানান, ইন্ডিগো সমস্যা নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। সেই আবেদনে অবশ্য কর্ণপাত করেননি স্পিকার ওম বিড়লা। আলোচনা না হওয়ায় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।
