নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগেই বয়কট করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল তৃণমূল, কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধী শিবিরের অধিকাংশ বড় দল। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের গদি কাড়া বিলে কার্যত বিরোধী শূন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি ঘোষণা করল কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে বুধবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা যৌথ কমিটি ঘোষণা করেছেন। মোট ৩১ জনের কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ভুবনেশ্বরের বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গীকে। ওই কমিটিতে বিরোধী শিবিরের সদস্য সংখ্যা মোটে ৩। কমিটি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয়/রাজ্য মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যদি তারা গুরুতর অভিযোগে টানা ৩০ দিন আটক থাকে তাদের অপসারণ সংক্রান্ত বিলগুলি পর্যালোচনা করবে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
কমিটিতে যে তারা থাকবে না সে কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। পরবর্তীকালে সেই রাস্তাতেই হেঁটে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস-সহ ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির মতো বড় বিরোধী দলগুলিও যৌথ কমিটিতে তাদের কোনেও প্রতিনিধি থাকবে না বলেই জানিয়ে দেয়। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বারবার প্রচেষ্টার পর, সরকার অবশেষে কংগ্রেস, ডিএমকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের ছাড়াই কমিটি ঘোষণা করেছে। কমিটিতে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং এমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসি রয়েছেন। বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি বলতে তাঁরাই।
চমকপ্রদভাবে এই বিল নিয়ে আলোচনায় যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হল তাতে বিরোধী শিবির ৩ সবচেয়ে বড় দলের কোনও প্রতিনিধি নেই। যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সংসদীয় রাজনীতিতে বেনজির। সরকারি সূত্রের খবর, লোকসভার স্পিকারের তরফে বিরোধীদের কাছে বারবার প্রতিনিধিদের নাম জমা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও জবাব না মেলায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত।
