সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশের ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন মঞ্চের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল 'সংবিধান' রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে সংবিধান প্রণেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন, সেখানে কংগ্রেস মনে করাল মোদি জমানাতেই সবচেয়ে বিপদে সংবিধান।
এদিন সকালেই দেশবাসীকে ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়। সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। এই সংবিধান তৈরিতে অবদান রেখেন বহু পুরুষ ও মহিলা। সেই সংবিধান প্রণেতাদের আমার বিনম্র প্রণাম।’ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সরাসরি রাজনীতির উল্লেখ না থাকলেও তাঁর বার্তায় একাধিকবার সংবিধানের উল্লেখ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
কংগ্রেসের তরফে সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা দেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সংবিধান প্রণেতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনিও। কিন্তু তারপরই সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে দেন বর্তমান সরকারকে। খাড়গের বক্তব্য, ভারতীয় সংবিধানের সব রক্ষাকর্তাই আজ বিপন্ন। কংগ্রেস সভাপতির বার্তা, 'মোদি সরকার সংবিধানের সব পবিত্র প্রহরীকে বিপন্ন করে তুলেছে। ধর্মীয় মৌলবাদের আগ্রাসনে সমাজে বিভাজন ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু, দলিত, অনগ্রসর এবং গরিবদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষদের বিরুদ্ধে গোয়েবেলিয় ধাঁচে বদনাম করা হচ্ছে।" খাড়গের দাবি, এই মুহূর্তে সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করা জরুরি। তাঁর বিবৃতিতে মণিপুর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে সংবিধান। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির আমলে সংবিধান 'খতরে মে'। সংবিধান বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র সরকার। সেই অভিযোগ সাধারণতন্ত্র দিবসে তুলে ধরলেন কংগ্রেস সভাপতি।