সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস। বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান ছিল অতুলনীয়।" এই পোস্টের সঙ্গে রয়েছে নেতাজিকে নিয়ে তৈরি করা একটি ভিডিও। যেখানে ভয়েস ওভার (নেপথ্য কণ্ঠ) দিয়েছেন মোদি নিজেই। এদিকে নেতাজির জন্মদিন বিতর্কিত পোস্ট করে সমালোচিত লোকসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কেন বিতর্ক?
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবসকে 'পরাক্রম দিবস' হিসাবে পালন করে কেন্দ্র। এদিনের পোস্টে মোদি লেখেন---"আজ, পরাক্রম দিবসে আমি শ্রদ্ধা জানাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার অবদান অতুলনীয়। তিনি সাহস এবং দৃঢ়তার প্রতীক। তাঁর আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে সেই ভারত গড়তে, একদিন যার স্বপ্ন দেখেছিলেন নেতাজি।" এই পোস্টের সঙ্গে রয়েছে একটি ভিডিও। যেটি নেতাজির ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ভিডিওর ভয়েস ওভার বা নেপথ্য কণ্ঠ খোদ মোদির। ভিডিওর শুরুতেই নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
নেতাজির জন্মজয়ন্তিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীও। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল লিখেছেন, "মহান বিপ্লবী, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুজিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। নেতাজির নেতৃত্ব, সাহস, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর সংগ্রাম, সহনশীলতা এখনও প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে। ভারত মাতার অমর সন্তানকে আমার বিনম্র প্রণাম! জয় হিন্দ।"
রাহুলের এই মন্তব্যে বিতর্ক নেই। কিন্তু এদিন নেতাজির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা। সেখনে জন্মের (২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭) পাশাপাশি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন হিসাবে ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫-কে উল্লেখ করা হয়েছে। কার্যত নেতাজির মৃত্যুরহস্যকে অস্বীকার করা হয়েছে কংগ্রেস নেতার পোস্টে।
উল্লেখ্য, ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতা সুভাষ চন্দ্র বসুর তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে উড়ানের সময় দুর্ঘটনার মৃত্যু নিয়ে ধন্দ রয়েছে। সেই ধন্দ কাটাতে বিভিন্ন সময়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। যদিও নেতাজির শেষ জীবন নিয়ে কুয়াশা কাটেনি। তা সত্ত্বেও তাঁর মৃত্যুদিন উল্লেখ করায় তীব্র সমলোচনার মুখে পড়েছেন রাহুল।