সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গোষ্ঠী সংঘর্ষ উত্তপ্ত সম্ভলে যেতে পারেননি রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মাঝপথেই আটকেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে হিংসা পীড়িত ৫ পরিবারের সদস্যর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেসের দুই প্রধান মুখ।
এদিন দিল্লির ১০ জনপথে এসেছিলেন সম্ভলের ক্ষতিগ্রহ ৫ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা শোনার পাশাপাশি ন্যায়ের লড়াইয়ে পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন রাহুল। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও তিন কংগ্রেস নেতা-রিজওয়ান কুরেশি, শচীন চৌধুরি এবং প্রদীপ নারওয়াল। সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে শচীন চৌধুরি জানান, হিংসা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে আছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন সুবিচারের লড়াইয়ে দল পাশে রয়েছে। তিনি আরও জানান, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কথা বর্ণনা করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন পীড়িত পরিবারের এক সদস্যা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্বান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গত, গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা সম্ভলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছিল লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন ওয়ানড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে গাজিপুরে আটকানো হয় তাঁদের। এর পর সেই পরিবারগুলিকে দিল্লিতে উড়িয়ে এনে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বার্তা দিলেন পাশে থাকার।
উল্লেখ্য, সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে একটি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ওই এলাকায় ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের নিম্ন আদালত। মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রবিবার অর্থাৎ দ্বিতীয় সমীক্ষার দিন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়।