সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের তথ্য আগেভাগে কীভাবে পেলেন অর্ণব গোস্বামী? কে তাঁকে তথ্য দিল? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাকি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই প্রশ্নই তুললেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এই তথ্যফাঁসের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে বুকলেট প্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। সেখান থেকে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন তিনি। কৃষি আইন থেকে বেকারত্ব, চিনা আগ্রাসন থেকে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের তথ্য ফাঁস নিয়ে সরব হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন : ‘হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করবেন না, মুসলিম অভিনেতাদের লিখিত মুচলেকা দিতে হবে’]
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, “বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক খুবই গোপনীয় বিষয়। বায়ুসেনার অভিযানের আগে হাতেগোনা পাঁচ-ছ’জন এ বিষয়ে জানতেন। তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা এবং বায়ুসেনা প্রধান।” এরপরই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির প্রশ্ন, “সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী কীভাবে এই তথ্য জানতে পারলেন? কে তাঁকে এই কথা জানালেন? তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী কিংবা বাকিরাই এই তথ্য ফাঁস করেছেন?” এ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে রাহুল বলেন, “যাঁরা এই তথ্য ফাঁস করলেন আর যাঁরা এই তথ্য পেলেন, উভয়ই দোষী।” তাঁর আশঙ্কা, “অর্ণব এ বিষয়ে আগেই জানতে পারলে, পাকিস্তানও যে আগে থেকে খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে যায়নি তার নিশ্চয়তা কোথায়? উল্লেখ্য, বালাকোট হামলা সম্পর্কে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী আগেভাগেই জানতেন বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ফাঁস হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।
[আরও পড়ুন : অরুণাচলে চিনা গ্রাম নিয়ে মোদিকে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী, পালটা দিল গেরুয়া শিবিরও]
শুধু ‘চ্যাটগেট’ নয়, কেন্দ্রকে কৃষি আইন নিয়েও বিঁধেছেন রাহুল। তাঁর কথায়, “এই আইন প্রত্যাহার হলেও মোদি সরকার থেমে যাবে না। যে কোনও প্রকারে কৃষিক্ষেত্রটিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবসায়ী বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে চাইবে। এ নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” পাশাপাশি, চিনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়েও তর্ক করেছেন রাহুল । তাঁর কথায়, “চিন ভারতকে পরীক্ষা করছে। কেন্দ্রের উচিৎ এখনই সঠিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া। নাহলে চিন আরও পদক্ষেপ করবে। তখন ভারতের কিছু করার থাকবে না।”