shono
Advertisement

২৩ দিন, ৬ হাসপাতাল! ছেলেকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে ঘুরেছিলেন রাজস্থানের দলিত পড়ুয়ার বাবা

এক পাত্র থেকে জল খাওয়ার জন্যই মারধর করা হয়েছিল ছেলেকে, দাবি মৃত পড়ুয়ার বাবার।
Posted: 08:41 PM Aug 17, 2022Updated: 08:41 PM Aug 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ দিন। ৬ হাসপাতাল। আহত ছেলেকে নিয়ে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য, হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছিল রাজস্থানে (Rajasthan Boy) মৃত দলিত পড়ুয়ার বাবাকে। জাতীয় তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনের রিপোর্টে এমনই মর্মস্পর্শী তথ্য প্রকাশ্যে এল। রাজস্থানের জালোরের ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়েছিল, একই পাত্র থেকে জল খাওয়ার জন্য মারা হয়নি ৯ বছরের ওই নাবালককে। কিন্তু মৃত পড়ুয়ার বাবা দেবরাম মেঘওয়াল দাবি করেছেন, এক পাত্রে জল খাওয়ার জন্যই তাঁর ছেলেকে মারধর করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

Advertisement

গত ২০ জুলাই রাজস্থানের জালোর (Jalor) জেলার সায়লা গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্দ্র মেঘওয়াল নামের ৯ বছরের ওই পড়ুয়াকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। গত শনিবার ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝখানে টানা ২৩ দিন ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছিলেন ইন্দ্রর বাবা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দেবরাম মেঘওয়াল (Devram Agarwal) জানিয়েছেন, শিক্ষকের মারের পর চোখ এবং কানে গুরুতর চোট লাগে ইন্দ্রর। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। কিন্তু দু’দিনে যন্ত্রণা না কমে আরও বেড়ে যায়। সেখান থেকে আস্থা মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে।

[আরও পড়ুন: টেট পাশ না করেও শিক্ষকতা, অনুব্রতকন্যার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা আইনজীবীর]

সেখানেও ব্যাথার উপশম হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি ছেলেকে ভিনমলের ত্রিবেণী মাল্টি স্পেশ্যালিটি হসপিটাল ও ট্রমা সেন্টারে ভরতি করেন ছেলেকে। কিন্তু সেখানেও ছেলের যন্ত্রণা উপশম হয়নি। সেখানেও কানের যন্ত্রণা না কমায় গুজরাটের কারনি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ইন্দ্রকে। এখানে মাত্র একদিন থেকের পরই তাঁকে ফের ত্রিবেণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ৬ দিন ধরে চলে চিকিৎসা। তারপর আহমেদাবাদ সিভিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রর।

[আরও পড়ুন: জামিনের আরজি খারিজ, আরও ৭ দিন CBI হেফাজতে SSC’র প্রাক্তন উপদেষ্টা এসপি সিনহা, অশোক সাহা]

জাতীয় তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি কমিশনের (SC-ST) চেয়ারপার্সন বিজয় চৌধুরী এই ঘটনায় স্তম্ভিত। তিনি বলছেন, শুধু একটা চড় মারলে এত মারাত্মক পরিণতি হত না ইন্দ্রর। তাই আমরা সরকারের কাছে জানতে ছেয়েছি, ঠিক কী ঘটেছে। আগেও আমরা বহু ভিডিও দেখেছি কীভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির বিরুদ্ধে অত্যাচার করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement