সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬৪.৬ শতাংশ! ইতিহাস বলছে এর আগে কোনওদিন বিহারে এই হারে ভোট পড়েনি। এর আগে ২০০০ সালে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ। এবার সেই হারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বিহার। রাজনৈতিক দলগুলি অঙ্ক কষতে ব্যস্ত, বাড়তি ভোটের হারে লাভটা কার? এদিকে এখনও বাকি দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ। তার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, বিহারে বিরোধীদের গুঁড়িয়ে দিয়ে জিতবে এনডিএ। ১৬০টির বেশি আসনেই তাঁরা জয়ী হবেন বলে দাবি শাহর।
এরই পাশাপাশি তিনি দাবি করলেন, ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থই হল বিহার এনডিএ-কেই চায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় অমিত শাহকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ভোটার বৃদ্ধিই বুঝিয়ে দিচ্ছে বিহার এনডিএ-কেই চায়। ওরা চায় না আবার বিরোধীরা ক্ষমতায় ফিরুক এবং আগের মতো রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দিক!''
ভোট শুরুর আগেই অবশ্য অমিত শাহ বলেছিলেন, ১৬০টির বেশি আসন পেয়ে মসনদে প্রত্যাবর্তন করবে শাসক জোট। যদিও এতদিন বিহারে এনডিএ নেতারা বলেছেন, ”আব কি বার ২০০ পার।” কিন্তু শাহ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছেন। বিহারে তাঁরা কী কী করেছেন, তার বিবরণ দিতে গিয়ে শাহ বলছেন, ”এখনও পর্যন্ত গত এগারো বছরে আমরা বিহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো- রাস্তাঘাট, সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে মজবুত করার কাজ করেছি। শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও ইতিমধ্যে মোদিজি স্বয়ং তৈরি করে দিয়েছেন।”
যদিও প্রশ্ন উঠছে, ভোটের এই বাড়তি হার বদলের ইঙ্গিত কি? ভোট বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কোনও রাজ্যে ভোটের হার বাড়ার অর্থ সেই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইছে। এনডিএ শিবির অবশ্য প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার তত্ত্ব মানতে নারাজ। শাসক শিবির বলছে, বিহারের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এই ভোটের হার। এটা প্রতিষ্ঠানের পক্ষের হাওয়া। অমিত শাহর বক্তব্যেও অবশ্য উঠে এল সেই একই দাবি।
