shono
Advertisement

‘চুল কেটে নেয় তালিবান’, ভারতে এসে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন আফগান শিখ শরণার্থী

আফগানিস্তান থেকে ফেরানো হল ৫৫ শিখ শরণার্থীকে।
Posted: 10:03 AM Sep 26, 2022Updated: 11:02 AM Sep 26, 2022

সংবাদ প্রত্রিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান। তারপরই থেকেই সে দেশের হাতেগোনা সংখ্যালঘুদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রবিবার জেহাদিদের হাত থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে আসেন ৫৫ জন আফগান শিখ। তাঁদেরই একজন জানিয়েছেন, কীভাবে ধর্মের নামে অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবান।

Advertisement

গতকাল আফগানিস্তান থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন শরণার্থীরা। অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির তরফে দুর্দশাগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওই বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ জন হিন্দু এবং শিখ এখনও আফগানিস্তানে(Afghanistan) রয়েছেন। জুন মাসে কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে হামলার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৮ জন আফগান হিন্দু ও শিখ এদেশে এসেছেন। যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমিটি বহন করেছে।

[আরও পড়ুন: ‘নির্বোধ কাকে ভাবছেন’, এফ-১৬ ইস্যুতে আমেরিকাকে তোপ জয়শংকরের]

দিল্লি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলজিৎ সিং নামের এক আফগান শিখ যুবক তালিবানের ভয়াবহ অত্যাচারের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, “আফগানিস্তানের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। আমাকে চারমাস জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তালিবান আমাদের প্রচণ্ড ঠকিয়েছে। জেলে আমাদের চুল কেটে নেওয়া হয়। ভারতে আসতে পেরে এবং নিজের ধর্মে ফিরতে পেরে আমি খুব খুশি।” সুখবীর সিং খালসা নামের অন্য এক শরণার্থী বলেন, “দ্রুত আমাদের ভিসা দিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ। এখনও আমাদের পরিবারের ৩০ থেকে ৩৫ জন আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন।”

এদিকে, আফগান শিখদের দেশ ছাড়ার অনুমতি দিলেও ধর্মগ্রন্থ আনতে দেয়নি তালিবান। ফলে আফগানিস্তানেই রয়ে গিয়েছে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ এবং সাচ্চি সাহিব’ দু’টি সংস্করণ। এই বিষয়ে শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রেসিডেন্ট হরজিন্দর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধর্মগ্রন্থগুলি ভারতে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন সেদেশের ১১১ জন শিখ ও হিন্দুকে ই-ভিসা দেয় ভারত সরকার। ওইদিন সকালেই কাবুলের কার্তে পারওয়ান এলাকায় একটি গুরুদ্বারে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর গুরুদ্বারের নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করে ওই ধর্মস্থলে ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। এর পর গুরুদ্বারের ভিতর থেকেও ভেসে আসে আগ্নেয়াস্ত্রের আওয়াজ। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হন ৭ জন। এছাড়া, সে দেশে জোর করে ধর্মান্তকরণ ও শিখ ও হিন্দু তরুণীদের অপহরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের হিন্দু নির্যাতন, দুই নাবালিকা ও এক গৃহবধূকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement