সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের ফ্যাশন এবং নীতীশ কুমার। শনিবার বিহারে বিতর্ক ছড়াল এই দুই ইস্যু নিয়ে। আসলে দুটি নয়, ইস্যু একটিই। তাঁর আমলে মহিলাদের ফ্যাশনের উন্নতি হয়েছে, নীতীশের এহেন দাবির পরই তাঁকে পালটা দিল আরজেডি। আর তাই নিয়েই সরগরম বিহারের রাজনৈতিক আঙিনা।
ঠিক কী বলেছিলেন নীতীশ? বিহারে শুরু হওয়া 'প্রগতি যাত্রা'য় শরিক হয়ে জেডিইউ প্রধান বেগুসরাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''মেয়েরা এখন আত্মবিশ্বাসী। তাঁরা চমৎকার কথা বলেন। কত সুন্দর ভাবে পোশাক পরেন। এমন ভালো পোশাক পরতে তাঁদের কি আমরা আগে দেখেছিলাম?''
এই মন্তব্যের ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'আগে বিহারের মেয়েরা কেবল পোশাকই নয়, স্বাভিমান, স্বাবলম্বিতা ও সম্মানও পরিধান করতেন। মেয়েদের ফ্যাশন ডিজাইনার হবেন না। আপনি মুখ্যমন্ত্রী, ফ্যাশন ডিজাইনার হবেন না। আপনার নিকৃষ্ট চিন্তাভাবনা দেখানোর দরকার নেই। এটা বিবৃতি নয়, বিহারের অর্ধেক জনসংখ্যাকে সরাসরি অপমান করা।'
এই বছরের গোড়ায় অবশ্য লালুপ্রসাদের ‘দরজা খোলা’ রেখে আমন্ত্রণ এবং তা শুনে নীতীশের স্মিত হাসি ঘিরে নানা জল্পনা ঘনিয়ে উঠেছিল বিহারে। তারপর আবার লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেওয়া, এবং কাঁধে হাত রেখে বাহবা দেওয়া। নীতীশের কার্যকলাপে চিন্তার বলিরেখা দেখা দিয়েছিল বিজেপি নেতাদের কপালে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, একসময় ‘ইন্ডিয়া’-র অন্যতম উদ্যোগী থাকা জেডিইউ প্রধান কি এনডিএ-র হাতক ছেড়ে ফের ইন্ডিয়ায় ফিরবেন? এই প্রশ্নটা বিহার রাজনীতিতে ঘোরাফেরা করছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এরপরই লালু বলেন, “নীতীশের জন্য ইন্ডিয়ার দরজা খোলা। তাঁরও উচিত নিজের দরজা খুলে দেওয়া। তাহলে দুই প্রান্তের লোক যাতায়াত করতে পারবেন।” লালুর সেই প্রস্তাব পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি নীতীশ। সাংবাদিকরা তাঁকে ওই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি মৃদু হাসেন। হাতজোড় করেন। ফলে জল্পনা আরও বাড়ে। কিন্তু এবার ফের লালুপুত্রের নীতীশ-আক্রমণের ছবি সামনে আসতেই পরিষ্কার, নীতীশের ইন্ডিয়ায় ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই।