shono
Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন নির্মাণ নিয়ে টানাপোড়েনে আপাতত ইতি, আবেদন শুনতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট

করোনাকালে এই প্রকল্প বন্ধ রাখার জোরাল আবেদন উঠে এসেছে।
Posted: 04:05 PM May 05, 2021Updated: 04:06 PM May 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তির আগেই নতুন ঘরে উঠে যেতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাই সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্পের কাজ করোনাকালেও (Corona Virus) যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না হয়, তার জন্য সরকারের তরফে সব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার এই কাজ বন্ধ করার আবেদন পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে। আর সুপ্রিম কোর্টও সেই আবেদন শুনতে রাজি হল। তবে প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়েছেন, ‘এখন বিচারপতি কম, তাই দেখা যাক কী করা যায়।’ ফলে শুনানির নির্দিষ্ট তারিখ এখনও মেলেনি।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টে বিষয়টি ওঠে। কিন্তু আদালত প্রকল্প বন্ধ রাখার আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেয় ১৭ মে পর্যন্ত। তার পরই বিষয়টি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। একাধিক বিরোধী দল এবং পরিবেশ কর্মীরা করোনা কালে এ ভাবে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন। কিন্তু কোনও কিছুই কার্যত কানে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন এবং তার সংলগ্ন এসপিজি অফিসের কাজ আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার তোড়জোড় চলছে। কাজ বন্ধ রাখার পক্ষে কয়েক জন আবেদনও করেন। তাঁদের হয়ে প্রধান বিচারপিতর কাছে যান আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলা শুনানিতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

[আরও পড়ুন: শেন ওয়ার্ন-গিলক্রিস্টের প্রাক্তন সতীর্থকে অপহরণ! চাঞ্চল্য ক্রিকেট মহলে]

দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে এই গোটা প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে জরুরি পরিষেবা তকমা দেওয়া এবং পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাসভবন ছাড়াও নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু দেশ যেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, দিল্লিতে যখন লকডাউন চলছে, সেখানে শ্রমিকদের কেন প্রাণ সংশয়ের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। সেই প্রশ্নও ওঠে। নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানান শ্রমিকদের নির্মাণস্থলেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তাঁদের বাইরের কারোর সংস্পর্শে এসে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেছেন, বেশির ভাগ শ্রমিকই রোজ বাইরে থেকে আসছেন। নির্মাণস্থল থেকে অন্তত ১৬ কিলোমিটার দূরে যাতায়াত করছেন।

[আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ লকডাউন নয়, কোভিড মোকাবিলায় বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে যাতে কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয় সেই আবেদন এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। ফলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত এই ৪ কিলোমিটার পথ নতুন করে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন সাময়িক ধাক্কা খাবে কিনা তা সময়ই বলবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement