সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদচ্যুত করা সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কট করছে গোটা ইন্ডিয়া জোট। ব্যতিক্রম শুধু এনসিপির শরদ পওয়ার শিবির। শোনা যাচ্ছে, শরদ পওয়ারের দল কেন্দ্রের গঠন করা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে।
সংসদের বাদল অধিবেশনের সময়েই ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল সংক্রান্ত সংসদীয় যৌথ কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পথে হেঁটেই সমাজবাদী পার্টি থেকে শুরু করে আম আদমি পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও জেপিসি-তে প্রতিনিধি পাঠাবে না বলে ঘোষণা করে। এবার কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও প্রতিনিধি জেপিসি-তে থাকবে না। সূত্রের খবর, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার আগে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিলটির বিরুদ্ধে বাদল অধিবেশনে সবার আগে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকেই। দল মনে করে, এই বিল পাস হবে না। পাস হলেও সুপ্রিম কোর্ট তা ছুড়ে ফেলে দেবে। সাংসদদের অনেক কাজ থাকে তাই সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।
তৃণমূলের সেই অবস্থানকে কার্যত গোটা ইন্ডিয়া জোট মেনে নিলেও, ব্যতিক্রম শুধু মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পওয়ার। সুপ্রিয়া সুলে বলছেন, "আমরা এই বিলের বিরোধী। সেই বিরোধিতা করার জন্যই যৌথ সংসদীয় কমিটিতে থাকাটা জরুরি।" তিনি বলছেন, সরকারের আনা কোনও 'জনবিরোধী' বিলের বিরোধিতা করাটা সুস্থ গণতন্ত্রের নিদর্শন। তাছাড়া কংগ্রেসের তরফেও এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে দাবি শরদ পওয়ারের কন্যার। তবে যেভাবে গোটা ইন্ডিয়া জোটের উলটোপথে হেঁটে শরদ পওয়ারের দল সরকারের গড়া জেপিসিতে যোগ দিচ্ছে, সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সামনেই মহারাষ্ট্রে স্থানীয় নির্বাচন। তার আগে কি মহারাষ্ট্রে নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হতে পারে? চলছে জল্পনা।
