সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের মধ্যেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একবছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভারতে বসবাস করছেন। তাই 'কঠিন সময়ের বন্ধু' ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, নিজের দেশ, নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে চলে আসা খুবই কঠিন। কিন্তু ভারত যেভাবে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে, তাতে তিনি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন মুজিবকন্যা। অন্যদিকে হাসিনাপুত্র সাজিব ওয়াজেদ ওরফে জয় বলছেন, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে হাসিনাকে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা-সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার এই রায়দান সরাসরি সম্প্রচারিতও হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় দেখানো হবে। ওইদিন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে জনমনে আশঙ্কা ও উদ্বেগ রয়েছে।
সোমবার রায় ঘোষণার আগে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, "ভারতের মানুষের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছেন। আমাদের দুই দেশের মধ্যে ৪ হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক যোগ রয়েছে। আমাদের দুই দেশই একে অপরকে যথেষ্ট সম্মান করে।" উল্লেখ্য, হাসিনার পুত্র জয় সাফ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদা দিয়েই দিল্লিতে রাখা হয়েছে হাসিনাকে।
সাজেদ মনে করছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চলেছে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মামলায় হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, একথা আগে থেকেই জানা রয়েছে বলে দাবি সাজেদের। যদিও যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন হাসিনা। তবে সাজেদ আত্মবিশ্বাসী, যেহেতু হাসিনা ভারতে রয়েছেন, তাই কেউই হাসিনার সুরক্ষা বিঘ্নিত করতে পারবে না। সবমিলিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারতও তাকিয়ে রয়েছে হাসিনার রায়দানের দিকে।
