shono
Advertisement

সিধু মুসেওয়ালার খুনিদের কাছে গ্রেনেড! এবার গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার দুই শুটার

গ্রেনেড ছাড়াও একাধিক ডেটোনেটর, পিস্তল ও অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে দুষ্কৃতীদের থেকে।
Posted: 08:15 PM Jun 20, 2022Updated: 08:15 PM Jun 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moose Wala) হত্যায় গত সোমবার সন্তেষ যাদব নামের এক শুটারকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এবার গুজরাটের কছ থেকে আরও তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Special Cell of Delhi Police)। ওই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে গ্রেনেড-সহ একাধিক বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা জানিয়েছে, এদিন যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হল হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা প্রিয়ব্রত আলিয়াস ফৌজি (২৬), হরিয়ানারই ঝাজিজার জেলার কাশিশ (২৪) ও ভাটিন্ডা পাঞ্জাবের বাসিন্দা কেশব কুমার (২৯)। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানিয়েছে, এদের মধ্যে দু’জন সিধু মুসেওয়ালা হত্যায় অভিযুক্ত শুটার। তিন দুষ্কৃতীর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮টি গ্রেনেড, ৯টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর, ৩টি পিস্তল এবং একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। দুষ্কৃতীদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় চমকে গিয়েছে পুলিশ। তারা গ্রেনেড, ডেটোনেটরের মতো বিস্ফোরক কোথা থেকে পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ‘প্রকল্প পছন্দ না হলে যোগ দিতে হবে না’, অগ্নিপথ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় বিতর্ক]

গত ১৩ জুন গ্রেপ্তার হওয়া সন্তোষ যাদব গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য বলে জানা গিয়েছিল। তার আগে গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধুকে খুনের অভিযোগে হরকমল রানু নামে এক শার্পশুটারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত যুবক ভাতিন্ডা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছিল। এছাড়াও কেশব নামে আর এক বন্দুকবাজকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সোনিয়া গান্ধী, থাকতে হবে বিশ্রামে]

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। চলতি বছর নভেম্বর মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল সিধুর। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, গত এপ্রিলে আমনদীপ কৌরের সঙ্গে চারহাত এক হবে তাঁর। দু’বছরের প্রেমই বদলে যাওয়ার কথা ছিল পরিণয়ে। কিন্তু মার্চে পাঞ্জাব নির্বাচনের কারণে সে সময় বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন জীবনে আর পা রাখা হল না সিধুর। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পরেরদিনই খুন হন তিনি। তাঁর খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে নানা প্রশ্ন। যার উত্তর খুঁজছে তাঁর হত্যাকাণ্ডে গঠিত হওয়া SIT।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement