আদানির আর্থিক ক্ষতিতে চিন্তিত নয়, ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের ঋণ সুরক্ষিত, জানাল SBI

03:25 PM Jan 28, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ৪৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি খুইয়েছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা। একটি নামী অর্থ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রের এমনটাই দাবি। অন্যদিকে আদানি গোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (State Bank of India)। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, এবার আদানির জন্য কি বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক? যদিও এদিন এসবিআই জানিয়ে দিল, আদানিকে ঋণদান নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় তারা। ব্যবসায়ী সংস্থার ঋণ-মূল্যের সমপরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে ব্যাংকের হাতে। ফলে ব্যাংকের অর্থ সুরক্ষিত রয়েছে।

Advertisement

দু’দিন আগে এক মার্কিন সংস্থা দাবি করেছে, আদানি নিয়ন্ত্রিত শীর্ষ সংস্থাগুলির যথেষ্ট ঋণ রয়েছে। আরও বলা হয়, ব্যবসা বৃদ্ধির অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ঋণ-নির্ভর হলে ঋণের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে আদানিদের সংস্থাগুলির জন্য। এর ফলেই ৪৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি খুঁইয়েছে তারা। যদিও যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, যে ঋণের বোঝা ঘিরে এত কথা, সেই বোঝা এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে তারা। ১৫ পাতার রিপোর্টে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক ভাবে ঋণকে ডি-লিভার করছে আদানি গোষ্ঠী। এবার ফের আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) বিপুল ক্ষতি সম্পর্কে নতুন দাবি সামনে এল।

[আরও পড়ুন: ত্রিপুরা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, নাম নেই বিপ্লব দেবের]

এসবিআই কার্যত আদানি গোষ্ঠীর দাবিতে সিলমোহর দিল। এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মুখপাত্র স্বামীনাথন জে মন্তব্য করেন, ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী একজন গ্রাহকের নামে আলাদা করে মন্তব্য করতে চান না তারা। এরপরেই জানানো হয়, রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম মেনে আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের অর্থও সুরক্ষিত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে আদানির উত্থান প্রায় উল্কার মতো। প্রথম থেকেই মুকেশ আম্বানিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। ক্রমে তাঁকে পিছনে ফেলে হয়ে ওঠেন এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের অন্যতম তিনি।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: কলেজিয়াম বিতর্কে আইনমন্ত্রীকে কটাক্ষ প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতির, নাম না করে খোঁচা ধনখড়কেও]

২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার বাড়তে থাকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। সেবছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে যান তিনি। এ যেন এক রূপকথার উত্থান। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিল তাঁর একরোখা জেদ ও অধ্যবসায়। হিরের ব্যবসায় মন দিতেই রাতারাতি কলেজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদানি। কিন্তু এই সাফল্যের মাঝেও রয়েছে আশঙ্কার কাঁটা।

Advertisement
Next