সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিল আগেই। সেখান থেকে কলকাতায় এসে ভুয়ো নাম, পরিচয়পত্র দিয়ে মোবাইলের সিম তুলেছিল শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। বলিউডের 'নবাব' সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করা হামলাকারীকে নিয়ে এই তথ্য রয়েছে মুম্বই পুলিশের হাতে। আর সেই তথ্যকে হাতিয়ার করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবার কলকাতায় পা রাখল মুম্বই পুলিশের টিম। রবিবার দুপুরে ২ সদস্যের তদন্তকারী দল এসেছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তদন্ত চালাবে বলে খবর।
গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে আততায়ীর হাতে জখম হন বলি অভিনেতা সইফ আলি খান। ছুরির একাংশ ঢুকে যায় তাঁর মেরুদণ্ডের নিচে। রাতেই তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অপারেশনের মাধ্যমে দেহ থেকে ছুরির ওই অংশ বের করার পাশাপাশি মুখে, হাতে ছুরির আঘাত লাগা অংশে প্লাস্টিক সার্জারিও হয়। ৬ দিন পর সইফ বাড়ি ফেরেন। সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আততায়ীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য-তালাশ করতে গিয়ে জানা যায়, সে আসলে বাংলাদেশি। ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল শিলিগুড়ি সীমান্ত দিয়ে। তারপর কলকাতায় এসে ভুয়ো নাম - খুকুমনি জাহাঙ্গীর খান হিসেবে পরিচয় দিয়ে মোবাইলের সিম তুলেছিল। এই খুকুমনি জাহাঙ্গীর আসলে শিলিগুড়ির এক তরুণীর নাম বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তা ব্যবহার করে যাবতীয় কুকীর্তি করেছে সে। প্রথমে কাজের খোঁজে মুম্বইয়ে যায় শরিফুল, তারপর সাফাইকর্মীর কাজের ছুঁতোয় সইফের বাড়িতে রেকি করে ১৫ তারিখ গভীর রাতে হামলা এবং পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়া।
শরিফুলকে জেরায় প্রচুর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যে অন্যতম তার কলকাতা থেকে সিম কেনা ও কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা। এবার এসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে কলকাতায় এসেছে মুম্বই পুলিশের ২ সদস্যের তদন্তকারী দল। রবিবার দুপুরেই পৌঁছন তাঁরা। জানা গিয়েছে, শরিফুল যে জায়গায় থাকত, সেসব জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন তদন্তকারীরা।