shono
Advertisement

‘ধর্ষণের পর বিয়ে করতে বলেছিল ওরা, তাই খুন করেছি’, জেরায় কবুল লখিমপুরের অভিযুক্তদের

দুই দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল যোগীরাজ্য।
Posted: 09:09 AM Sep 16, 2022Updated: 09:09 AM Sep 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও ধর্ষণের (Rape) কারণে শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয় ধর্ষকরা। গোটা দেশ শিউরে উঠেছে এই দৃশ্যে। ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা। জেরায় তারা জানিয়েছে, নির্যাতিতারা তাদের বিয়ে করার জন্য জোর করছিল। সেই কারণেই গলা টিপে দুই কিশোরীকে খুন করে তারা।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ”অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেটাকে কাজে লাগিয়েই তাদের ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পরে নির্যাতিতারা বলতে থাকে, ধর্ষকরা যেন তাদের বিয়ে করে নেয়। এরপরই তাদের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে অভিযুক্তরা। পরে তারা আরও দুই বন্ধুকে ডাকে। তাদের সাহায্যেই গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় মৃতাদের। যাতে সকলে মনে করে এটা আত্মহত্যা।” জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ছোটুই বাকি তিনজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় ওই কিশোরীদের। কিন্তু ঘটনার সময় সে সেখানে ছিল না।

[আরও পড়ুন: এসএসসি দু্র্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়]

এদিকে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়েছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই মৃতাদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি তাদের আত্মীয়দের একটি পাকা বাড়ি ও কৃষিজমির পাট্টাও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে এক মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।

এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। তিনি হিন্দিতে টুইট করেন, “লখিমপুরে দুই বোন হত্যার ঘটনা হৃদয় বিদারক। স্বজনরা বলছেন, মেয়েদের দিনের আলোতে অপহরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সংবাদপত্র ও টিভিতে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয় না। উত্তরপ্রদেশে নারীর বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ বাড়ছে কেন?” ভয়ংকর ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করেছে, “যোগী আদিত্যনাথের নজরদারিতে উত্তরপ্রদেশ অপরাধের রাজধানীতে পরিণত হচ্ছে। প্রশাসন এবং পুলিশের নীরবতা জনগণকে এই জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাস্তায় আসতে বাধ্য করেছে।”

[আরও পড়ুন: চাকরিতে বঞ্চনার অভিযোগ, হাই কোর্টে শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পাওয়া বিশেষভাবে সক্ষম সাঁতারু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement