সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হার কর জিতনেওয়ালো কো বাজিগর কেহেতে হ্যায়…। বিহারের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) সঙ্গে বিখ্যাত বলিউডি ছবির এই সংলাপটির অনেকটা মিল রয়েছে। বছর দুই আগে তাঁর হাত ধরে কার্যত হারা ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই দিয়েছিল বিরোধী শিবির। জোটসঙ্গী কংগ্রেস আরেকটু ভালমতো লড়াই করলেই হয়তো মোদি-নীতীশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ জুটিকে হারিয়ে বিহারের মসনদে বসে পড়তে পারতেন সদ্য তিরিশ পেরনো তেজস্বীপ্রসাদ যাদব। ২০২০ সালে অল্পের জন্য হয়নি। কিন্তু ২০২২ সালে এসে ফের বিহারের ক্ষমতার অলিন্দে চলে এলেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে।
২০২০ নির্বাচনে হারলেও তেজস্বীর লড়াকু মনোভাব প্রশংসিত হয়েছিল বিরোধী শিবিরে। ভোটে হারের পরও কিন্তু চেষ্টা ছাড়েননি তিনি। শেষমেশ তাঁর চেষ্টা সফল হল। বিহারের ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা গেল বিজেপিকে (BJP)। যে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ২০১৭ সালে বিরোধীদের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন, তাঁকেই ফিরতে হল বিরোধী জোটে। হ্যাঁ, তেজস্বী হয়তো মুখ্যমন্ত্রী হলেন না। কিন্তু পাটলিপুত্রে রাজনীতিতে যা গুঞ্জন তাতে সরকারের চাবিকাঠি থাকছে তাঁর হাতেই।
[আরও পড়ুন: মমতার মতো বিরোধী শিবিরের প্রথম সারিতে চলে এলেন নীতীশ কুমারও, বলছেন শত্রুঘ্ন সিনহা]
সূত্রের খবর, বিহারে নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। যা জানা যাচ্ছে তাতে জেডিইউয়ের থেকে অনেক বেশি মন্ত্রিত্ব থাকছে তেজস্বী যাদবের আরজেডির কাছেই। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের বেশিরভাগটাই যাচ্ছে লালুর দলের কাছে। আর এর নেপথ্যে আছেন তেজস্বী যাদবই। সূত্রের খবর, বিহারে সরকার গঠনের প্রাথমিক যে ফর্মুলা ঠিক করা হয়েছে, তাতে আরজেডির খাতায় যাবে ১৬টি দপ্তর। জেডিইউয়ের খাতায় যাবে ১১-১৩টি দপ্তর। কংগ্রেস পাবে মাত্র ৪টি দপ্তর। একটি দপ্তর যাবে হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (HAM) হাতে। বামেরা যেহেতু সরাসরি মন্ত্রিসভায় অংশ নিচ্ছে না তাই তাদের কোনও মন্ত্রক দেওয়া হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত, পদে থাকবেন মাত্র আড়াই মাস]
শুধু মন্ত্রিত্ব বেশি পাওয়াই নয়, বিহার বিধানসভার স্পিকারের পদও যাচ্ছে আরজেডির (RJD) হাতেই। তাছাড়া তেজস্বী নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর যাচ্ছে তেজস্বীদেরই হাতে। অর্থাৎ ধারেভারে সবদিক থেকেই নীতীশের মন্ত্রিসভায় দাপট থাকবে।