shono
Advertisement

‘আপনি তো কলেজ ড্রপআউট’, ইতিহাস নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের পালটা তৃণমূলের

ভারতের ইতিহাসে পান্ড্য, চোল, মৌর্য, গুপ্তদের উপেক্ষা করা হয়েছে, দাবি করেছিলেন শাহ।
Posted: 11:48 AM Jun 12, 2022Updated: 11:48 AM Jun 12, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ইতিহাস বিকৃত করার মন্তব্যের জেরে গোটা দেশে আলোড়ন। শনিবার তাঁকেই তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর কথায়, শাহ তো কলেজ ড্রপআউট। ইতিহাস নিয়ে আবার কী বলবেন!

Advertisement

একদিন আগেই আক্ষেপের সুরে শাহকে বলতে শোনা গিয়েছে পান্ড্য, চোল, মৌর্য, গুপ্তদের ইতিহাসে উপেক্ষা করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুঘলদের ইতিহাসকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই নতুন ইতিহাস রচনার কথা বলেন শাহ। জবাব দেন সুখেন্দুশেখর (Sukhendu Sekhar Roy)। তাঁর কথায়, “ইতিহাসটা বিকৃত কি বিকৃত নয়, সেটা জানতে গেলেও ইতিহাস সম্পর্কে ধ্যানধারণা দরকার। তার জন্য কিছু কালিকলমের আঁচড় থাকা দরকার। যে ভদ্রলোক এ কথা বলছেন, আমি ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখেছি তাঁর নামের পাশে যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা লেখা আছে তা হল SY BSC।” সাংসদের প্রশ্ন, “কেউ কখনও শুনেছে এমন শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা? খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম এই এসওয়াই মানে ‘সেকেন্ড ইয়ার’। অর্থাৎ একটা কলেজের ড্রপআউট (কলেজছুট)।”

[আরও পড়ুন: চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন? ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, হু হু করে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস]

এর পরেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাজ্যসভার সাংসদের মন্তব্য, “তিনি (শাহ) ইতিহাস নিয়ে ভাবনা শুরু করেছেন এটা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর।” বস্তুত, একাধিক রাজনৈতিক ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ নিজে। ফলে ইতিহাস-বিকৃতি প্রসঙ্গে শাহকে তাঁর জবাব তাৎপর্যপূর্ণ। সুখেন্দুবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, “ইতিহাস যাঁরা লিখেছেন তাঁরা সব ইংরেজ ঐতিহাসিক। সব থেকে বেশি ইতিহাস তাঁরাই লিখে গিয়েছেন। বাবর বা আকবর কোনও ইতিহাস লিখে যাননি। পরবর্তীকালে ভারতীয় ঐতিহাসিক (Indian Historian) এবং ওদের ভাষায় হিন্দু ঐতিহাসিকরাই বেশি।”

[আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্যের জের, এবার নুপূর শর্মাকে তলব মুম্বই পুলিশের]

এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “ইতিহাসিক হিন্দু না মুসলিম না পার্সি না পর্তুগিজ এসব আমরা ভাবি না। ঐতিহাসিক ঐতিহাসিকই। সেটা যদি বিকৃত হয়ে থাকে এঁদের (বিজেপিমনস্ক) দ্বারা হয়েছে। তাঁদের গাল না পেড়ে বিজেপি একটা বিশেষ শ্রেণির মানুষকে গাল পাড়ছে।” সাংসদের অভিযোগ, “জন্মলগ্ন থেকে ওদের মানসিকতাটাই হল ধর্মান্ধতার। যাকে তারা চায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিতে। যাতে মানুষ ধর্মের আফিমে মশগুল থাকে। যা একসময় চিনে হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement