প্রণব সরকার, আগরতলা: কর্ণাটকের পর এবার ত্রিপুরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর পর এবার প্রতিবেশী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল পশ্চিমবঙ্গের ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি স্যালাইন রিঙ্গার ল্যাকটেট। ত্রিপুরার প্রধান দুই হাসপাতালে এই স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তা নিষিদ্ধ করেছে কর্ণাটক। এবার ত্রিপুরাও সে পথে হাঁটল।
জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদিত স্যালাইন ও নিম্নমানের ওষুধ নিয়ে অভিযোগ ছিল ত্রিপুরায়। তাই বছর দুই আগেই এখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই স্যালাইন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ত্রিপুরার বিভিন্ন হাসপাতালে এই রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন সরবরাহ পুনরায় শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর টনক নড়ে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তরের। সেখানে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, নিষিদ্ধ রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ায় তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই স্যালাইন ত্রিপুরায় চালু রয়েছে। রোগীরা তা নিয়ে অভিযোগও তোলেন। এরপরই স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে স্যালাইনটি ফের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা সৌভিক দেববর্মা দুই নামী হাসপাতালের সুপারকে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি স্যালাইন অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। অভিযোগ, এই সংস্থার সঙ্গে একটি চক্র জড়িত রয়েছে। যারা বিভিন্ন হাসপাতালে এই কোম্পানির নিম্নমানের স্যালাইন ও ওষুধ বছর পর বছর সরবরাহ করে আসছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর এখন এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়ালের তৈরি এই স্যালাইনই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। আর তা নিয়ে শোরগোলের মাঝে ত্রিপুরায় নিষিদ্ধ হল এই সংস্থার তৈরি স্যালাইন।