সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে কার্যত গোটা দেশে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সীমান্তেও চলছে কড়া নজরদারি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই ভারত-নেপাল সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার দুই ব্রিটিশ চিকিৎসক। দুই সন্দেহভাজনের মধ্যে একজন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত যুবক ও অন্যজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মহিলা। শনিবার এই দু'জনকে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকে গ্রেপ্তার করেছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)।
এসএসবির তরফে জানা গিয়েছে, বৈধ ভিসা ছাড়াই ওই দুই চিকিৎসক ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। রূপাইদিহা থানার আধিকারিক রমেশ সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ নেপালগঞ্জ থেকে রূপাইদিহা আসার পথে ওই দুই জনকে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ ও নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, তাঁদের ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ কাগজ নেই। যার জেরেই গ্রেপ্তার করা হয় দু'জনকে। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারকের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন, নেপালগঞ্জে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁরা। যদিও অভিযুক্তের দাবির কোনও সত্যতা এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।
এই দুই চিকিৎসকের পরিচয়ও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া দু'জন সুমিত্রা শাকিল অলিভিয়া (৬১) ও ৩৫ বছর বয়সি হাসান আম্মান সেলিম। এদের মধ্যে সুমিত্রার জন্মস্থান কর্নাটকের উদুপি, এবং সেলিম পাক বংশোদ্ভূত। দু'জনেই বর্তমানে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। কেন তাঁরা নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে দিল্লির সাম্প্রতিক 'হোয়াইট কলার টেরর'-এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে মেট্রোর সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে নেমে শুক্রবার বাংলা থেকে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য।
