মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর দুই সন্ত্রাসবাদী। উপত্যকায় একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ মেয়ে বড় ‘বোঝা’! প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে ষড়যন্ত্র করে নাবালিকাকে খুন করল মা]
জানা গিয়েছে, সোমবার শ্রীনগরের খোনমহ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জেহাদিদের। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর নিকেশ হয় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন আল বদরের দুই সদস্য। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বারবার অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানালেও আত্মসমর্পণ করেনি জঙ্গিরা। নিহত দুই জঙ্গিই কাশ্মীরের বাসিন্দা। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলেই শ্রীনগরের পন্থা চকে জঙ্গিদের ডেরার সন্ধান দেন গোয়েন্দারা। তারপর অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। সেখানেই খতম হয় আল বদরের দুই জঙ্গি। বলে রাখা ভাল, লাগাতার অভিযান চালিয়ে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠনগুলির কোমর ভেঙে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এদিনের অভিযানে দুই জঙ্গির নিকেশ হওয়াকে বড় সাফল্য হিদেবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। কাশ্মীরের হানদ্বারার বাসিন্দা খোয়াজা। ২০০০ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। তারপর কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৮ সালে ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। শুরুর দিকে হিজবুল মুজাহিদিনে থাকলেও সেখান থেকে লস্কর-ই-তইবায় চলে আসে। তারপর আল বদর সংগঠনে যোগ দেয় খোয়াজা। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কন্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হয়৷ সেসময় ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এর জন্য নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।