shono
Advertisement

Udaipur Violence: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের ধৃতকে মালা পরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা! ছবি ঘিরে শুরু বিতর্ক

অভিযুক্তরা বিজেপিতে যুক্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন অমিত মালব্য।
Posted: 02:01 PM Jul 02, 2022Updated: 09:39 PM Jul 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Udaipur Violence) পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রধান দুই অভিযুক্তকে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত তিন বছর ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিল রিয়াজ আটারি ও মহম্মদ ঘাউস! এমনকী, ২০১৯ সালের একটি ছবিতে রিয়াজকে মালা পরাতেও দেখা যাচ্ছে ইরশাদ চেনওয়ালা নামের এক বিজেপি নেতাকে। 

Advertisement

ওই বিজেপি নেতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বীকারও করে নিয়েছেন ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। তিনিই মালা পরিয়েছিলেন রিয়াজকে। তিনি জানিয়েছেন, ”হ্যাঁ, এটা আমিই। আমি ওকে মালা পরিয়েছিলাম। কেননা ২০১৯ সালে ও সৌদি আরব থেকে হজ করে ফিরেছিল।” সেই সঙ্গে চেনওয়ালা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দেখা যেত রিয়াজকে। ”রিয়াজ নিজে থেকেই আসত। ও বিজেপির হয়ে কাজ করতে চেয়েছিল।” 

[আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে ‘অসম্মান’! ভেঙে ফেলা হল স্যামসংয়ের বিলবোর্ড, অগ্নিগর্ভ পাকিস্তানের করাচি]

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে। হাত শিবিরের নেত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ রেণুকা চৌধুরী ওই সংক্রান্ত একটি পোস্ট টুইটারে শেয়ার করে লেখেন, ”আমি অবাক নই। আপনারা?” যে পোস্টটি তিনি শেয়ার করেছিলেন, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, তবে কি উদয়পুরের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত।

তাঁর সেই টুইটটি রিটুইট করে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malavya)। তিনি লেখেন, ”আপনারা যেভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তাতে আমি অবাক নই। উদয়পুরের খুনিরা বিজেপির সদস্য ছিল না। বিজেপিতে তাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার সঙ্গে তুলনা চলে রাজীব গান্ধীকে খুন করতে এলটিটিই জঙ্গিদের কংগ্রেসে যোগ দিতে চাওয়াকে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসের বিষয়ে এভাবে মানুষকে বোকা বানাতে চাওয়াটা বন্ধ করুক কংগ্রেস।” 

এদিকে বিজেপির সঙ্গে উদয়পুরের হত্যাকারীদের যোগাযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে বিভেদের রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বুর্জ খালিফার পর ফের থিমভাবনায় চমক শ্রীভূমির, এবারের আকর্ষণ কী? জানালেন সুজিত বসু]

এদিকে ১৩ জুলাই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। এর মধ্যে জানা গিয়েছে, যে বাইকে করে অভিযুক্তরা পালাতে চেষ্টা করছিল, তার নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা ২৬১১। যা থেকে পরিষ্কার, ২৬/১১ হামলার কথা মাথায় রেখেই ওই নম্বরপ্লেট ব্যবহার করছিল আততায়ীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারি ২০১৩ সালে ১ হাজার টাকা খরচ করে ওই নম্বর নিয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement