সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসের পরেও অতিরিক্ত ক্লাস! সেই কথা বলে নাবালিকাকে আটকে রেখে ধর্ষণ! অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। ঘটনা জানতে পেরে সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ দেখান নির্যাতিতার পরিবার ও পড়ুয়ারা। অভিযোগ দায়ের হতেই ৪৯ বয়সি অভিযুক্তকে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও পড়ুয়াদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই কোচিং সেন্টারে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। অভিযোগ, ঘটনার দিন ভয় দেখিয়ে ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সেন্টারের মালিক। অভিযোগ সামনে আসতেই কোচিং সেন্টারের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিভাবক ও পড়ুয়ারা দাবি করতে থাকে, অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। ওই মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বাকি পড়ুয়ারাও। তাদের অভিযোগ, টিউশন শেষের পরও খারাপ কাজের উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত জোর করে তাদের আটকে রাখত।
বাইরে বিক্ষোভ দেখে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলে অভিযুক্ত। উত্তেজিত জনতা দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। জনতাকে বুঝিয়ে ওই কোচিং সেন্টারের মালিককে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় ডিএসপি ময়ঙ্ক পাঠক বলেন, "অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ও ন্যায় সংহিতার ৬৪-২ (ধর্ষণ), ৬৫-১ (১৬ বছরের নিচের নাবালিকাকে ধর্ষণ) ১২৭-২ (আটকে রাখা) ৩৫১ (অপরাধমূলক ভাবে ভীতি প্রদর্শন) ধারায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়েছে।"