সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় (Varanasi Blast Case) দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহকে। সোমবার গাজিয়াবাদ জেলা আদালত এই রায় দিয়েছে। ১৬ বছর আগে ছাওনী রেল স্টেশনের কাছে পরপর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই অভিযুক্ত। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২০ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জন। কিছুদিন আগেই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ওয়ালিউল্লাহ। আর সোমবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত।
২০০৬ সালের ৭ মার্চ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বারাণসী। সংকট মোচন মন্দির, ছাওনী রেল স্টেশন ও দশাশ্বমেধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার পরের দিন প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওয়ালিউল্লাহকে। আরও পাঁচজন অভিযুক্ত ছিল এই মামলায়। ১৬ বছর ধরে শুনানি চলার পরে অবশেষে শাস্তি ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, প্রথমে এই মামলা এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad HC) বিচারাধীন ছিল। পরে তা গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন:মোদি সরকার গ্রামে শৌচালয় নির্মাণ করায় বহু রাজ্যে কমেছে ধর্ষণ, দাবি সম্বিত পাত্রর]
সরকার পক্ষের আইনজীবী রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, “দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়ালিউল্লাহ।” আজ সাজা ঘোষণার পরে পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিচারকের কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মাঝেমাঝেই কুকুর নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
বারাণসী বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত ওয়ালিউল্লাহের হয়ে মামলা লড়তে রাজি ছিলেন না কোনও আইনজীবী। ফলে প্রথমদিকে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই মামলা সরিয়ে দেওয়া হয় গাজিয়াবাদে। বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, আরও পাঁচ জন জড়িত ছিল এই ঘটনায়। তাদের মধ্যে মৌলানা জাবির নামে ওই অভিযুক্ত বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে ফাঁসির সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে ওয়ালিউল্লাহ।