সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১-র কোনও জবাব দেয়নি তৎকালীন ভারত। কিন্তু মোদি সরকার উরি ও বালাকোট স্ট্রাইকের মাধ্যমে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছিল। এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''অতীতে ভারত ২৬/১১-র কোনও জবাব দেয়নি। কিন্তু আমরা পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিলাম উরি ও বালাকোট স্ট্রাইকের মাধ্যমে।''
প্রসঙ্গত, ১৬ বছর আগে মুম্বইয়ে মানবতার মৃত্যু দেখেছিল বিশ্ব। ২০০৮ সালের এই ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে এসে চালিয়েছিল নারকীয় হত্যালীলা। ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী-সহ ১৬৬ জন নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি আহত হন। কাপুরুষোচিত ওই সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দায় গর্জে উঠেছিল ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশই।
২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় সীমান্তপার থেকে আসা জঙ্গিরা৷ ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ১৯ সেনা জওয়ান৷ এর পরই পাকিস্তানকে 'শিক্ষা' দিতে ওই মাসেরই ২৮ ও ২৯ তারিখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। তারই বদলা নিতে বালাকোটে বিমান হানা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। সময় যত এগিয়েছে, ততই সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভোর পৌনে চারটে বালাকোটে বোমা বর্ষণের পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোনে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া সাংকেতিক বার্তা দিয়েছিলেন, ”বাঁদর খতম।” জানা যায়, পাকিস্তান টেরও পায়নি ভারতীয় বায়ুসেনার তৈরি করা ব্লু প্রিন্ট। ফলে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান যখন বালাকোটে ৯০ কিলোর স্পাইস ২০০০ বোমা ফেলছিল, তখন সবথেকে কাছে থাকা পাকিস্তানি বিমানেরও অবস্থান ছিল ১৫০ কিলোমিটার দূরে! সেই প্রসঙ্গই এবার ফের শোনা গেল বিদেশমন্ত্রীর মুখে।