সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের ভারতের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিদেশমন্ত্রক। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হল, "মার্কিন প্রশাসন আদানিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম তথ্য দেয়নি ভারতকে।"
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, "এটা একটা বেসরকারি সংস্থা এবং এক ব্যক্তিবিশেষ ও আমেরিকার বিচারবিভাগের বিষয়। এই ধরনের ঘটনায় নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে এগোনো হয়। আমাদের বিশ্বাস সেই নিয়ম মেনেই এ বিষয়ে আগামী দিনে পদক্ষেপ করা হবে। এই নিয়ে আমেরিকার কোনও পদক্ষেপের কথা এখনও ভারত সরকারকে জানানো হয়নি।"
গত সপ্তাহে আদানি গোষ্ঠী সংক্রান্ত এক সংবাদে ভারত, আমেরিকা-সহ গোটা পৃথিবী বাণিজ্য ক্ষেত্রে হুলস্থুল পড়ে যায়। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যায়বিচার দপ্তর। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ২,২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিল আদানিরা। ওই প্রকল্প থেকে ২০ বছর ধরে প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল শিল্পগোষ্ঠীর।
প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা ঋণপত্রের (বন্ড) মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে প্রায় ৬৩৩৮ কোটি টাকা তুলেছিল বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তোলা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে আদানি গোষ্ঠীকে সে দেশের সমস্ত আইন মেনে চলতে হবে। সেই কারণেই আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যায়বিচার দপ্তর ব্যবস্থা নেয় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
যদিও পরে আদানি গোষ্ঠী জানায়, আমেরিকার আদালতে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে ঘুষের কোনও উল্লেখ নেই। এবার বিদেশমন্ত্রকও জানিয়ে দিল, আদানিদের নিয়ে আমেরিকার তরফে ভারতের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি।