সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'রিক্লেম দ্য নাইট'। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে অভিনব প্রতিবাদ দেখেছিল বাংলা। তিলোত্তমার সুবিচারের দাবি রাত জেগেছিল মহানগরী। তারপর দিনের পর দিন কেটে গিয়েছে। শুনানির পর শুনানি হয়ে গিয়েছে। সুবিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। তদন্তে ব্যর্থ সিবিআই। ৯০ দিনেও সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতেই বিরক্ত রাতদখলের মূল উদ্যোক্তা রিমঝিম। সুবিচার পেতে চাইলে, রাস্তায় থাকতেই হবে বলেই দাবি তাঁর।
শনিবার এক সংবাদমাধ্যমকে রিমঝিম বলেন, "রাস্তায় আমাদের থাকতেই হবে। ৪ মাস পরেও মানুষ কনভেনশন, মিছিল, পথসভার ডাক দিচ্ছেন। দেখে মনে হতে পারে ১৪ আগস্টের রাতদখলের মতো আমরা এত হল্লা করছি না হয়তো। মনে হতে পারে আমরা চুপ আছি। কিন্তু মনে মনে আমরা কেউ শান্ত নই। নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কারও শান্ত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না। জনগণের যে আন্দোলন তার আসলে কোনও পার্টিকে চ্যাম্পিয়ন করানোর থাকে না, সে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকে। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়। এটা একদিন বা চার মাসে হয়ে যাবে না, তা জানতাম।" তাহলে কি সুবিচারের দাবিতে ফের রাতদখলের ডাক দেবেন রিমঝিমরা, উঠছে প্রশ্ন।
সিবিআইয়ের ভূমিকায় রিমঝিমের মতোই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের আন্দোলনকারীরা। পথে নেমে ফের আন্দোলনে শামিল তাঁরা। তবে এই প্রতিবাদকে 'নাটক' বলে খোঁচা দিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। অভয়ার নামে তোলা টাকা-সহ নানা প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবার অনেকেই খোদ রিমঝিমের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, একসময় 'রিক্লেম দ্য নাইটে'র কথা উল্লেখ করে রিমঝিম প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই রিমঝিমেরই ফের আন্দোলনের পক্ষে সওয়ালকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না কেউ কেউ।