স্টাফ রিপোর্টার: দুয়ারে গিয়ে জল পরীক্ষার জন্য আশাকর্মীদের ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। জল পরীক্ষার জন্য দিনে যে ক’টি কিট ব্যবহার করা হবে সেই কিট পিছু ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে আশাকর্মীদের। কয়েক মাস আগে কামারহাটিতে পুরসভার পানীয় জল থেকে ডায়েরিয়া ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার পরই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরও নড়েচড়ে বসে। সরবরাহ করা জল কতটা পরিস্রুত তা জানার জন্য দুয়ারে গিয়ে জল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে দপ্তর।
জনস্বাস্থ্য কারিগরির অধীনে প্রায় ২১৭টি ল্যাবরেটারি রয়েছে। যে সব এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি জল সরবরাহ করে থাকে সেই সব এলাকা থেকে জল সংগ্রহ করে এই পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে জলের রিপোর্ট পেতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বাড়ি বাড়ি জল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত থেকে লোকও সময়মতো পাওয়া যায় না। তাই দুয়ারে গিয়ে জল পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: বাংলায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ গুটখা, পান মশলা, নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন]
বাড়ি বাড়ি জল পরীক্ষা করার জন্য আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের কথা হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আশাদের এই প্রশিক্ষণ শুরু করতে চলেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “জলে দূষণ হচ্ছে কি না, আর্সেনিক কিংবা কলিফর্ম জাতীয় কিছু রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে আশাকর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। আশাকর্মীরা গ্রামের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য নিতে বাড়ি বাড়ি যান। সেই সময়ই বাড়ির জলও পরীক্ষা করতে পারবেন। যদি কোনও বাড়ির জলে দূষণ মেলে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজের জন্য আশাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি জল পরীক্ষার জন্য আশারা পারিশ্রমিকও পাবেন।”
তিনি জানান, জল পরীক্ষার জন্য দপ্তর থেকে আশাকর্মীদের কিট দেওয়া হবে। দিনে যে ক’টি কিট ব্যবহার করবেন সেই কিট পিছু আশারা ১০০ টাকা করে পাবেন। যদি কোনও আশা ১০টি কিট ব্যবহার করেন তাহলে তিনি এক হাজার টাকা পাবেন।